ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বক্তারা

শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ রোল মডেল

শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ রোল মডেল

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪ | ০০:২৫

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসেছেন বলেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশে এখন রোল মডেল। তিনি এসেছেন বলেই যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সভার সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল।

পদ্মা সেতুর শুরুর কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের চোর অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করা থেকে সরে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে— শেখ রেহানা, জয়, ববি, সবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছিল। সেদিন শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু করার সাহস হতো না।

তারা বলেন, একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা সবাই শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয় শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। যারা বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তারা পাকিস্তানে যাক। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।

সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, তিস্তা পানি সমস্যার সমাধান, গৃহহীনদের বাড়ি দেওয়া, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন এসবই শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের কারণে সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ১৯৮১ সালে জিয়া সরকার স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিদের দিয়ে ‘শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ কমিটি’ পর্যন্ত করিয়েছিল। আওয়ামী লীগেরও অনেকেই শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন হোক তা চাননি।

বঙ্গবন্ধু কন্যার দেশে ফেরার বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডা. এস এ মালেকের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ও দলের সভাপতি বানাতে ওই সময় ডা. মালেক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তা স্বীকার করে তার বক্তব্যে বলেছেন।

সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল বলেন, আমরা রাজনীতি শিখেছি ডা. মালেকের কাছ থেকে, যিনি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন। শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সব সময় উৎসাহিত করেছেন।

রুবেল বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরা ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপরও তাকে আটকানো যায়নি। তিনি এসেছেন।

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, একটা সময় ছিল ঈদ ছাড়া জামা-কাপড় কেনা হতো না। অনেক দরিদ্র বন্ধুদের দেখেছি ঈদের সময় স্কুলড্রেস বানিয়ে পরতো, পরে সেটিই পরে স্কুলে যেত। সেই দিন বাংলাদেশে আর নেই। দেশের এই উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ড. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি বিনয় ভূষণ তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন রঞ্জন, মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সংগঠনের আইনবিষয়ক সম্পাদক নিতীশ সরকার, নুর ইসলাম, হাবিবুর রহমান খোকন, দৃষ্টি প্রামাণিক, মো. জামিল হোসেন, অহিদুর রহমান, আপেল মাহমুদ, এস এম শামীম আহমেদ, সাংবাদিক মাজেদুল হক তানভীর প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×