পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল, গাছে ঝুলছে ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন

হাসপাতাল সড়কে প্রবেশ করলেই নজরে পড়বে গাছে গাছে ঝুলছে ময়লা ফেলার প্লাস্টিকের ঝুড়ি। কোনো রোগী বা দর্শনার্থী যেন যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে  সে জন্য নির্দিষ্ট স্থানে লিখিত পরামর্শসহ গাছে ঝুড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি। 
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে হাসপাতালের বাইরের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার এই উদ্যোগে দারুণ খুশি সাধারণ রোগী ও দর্শনার্থীরা। 
দুর্গম হরিণছড়া থেকে রোগী নিয়ে আসা ছাইমা মারমা বলেন, ‘এত সুন্দর ও পরিষ্কার হাসপাতাল আমি আগে দেখেনি।’ কাপ্তাই শিল্প এলাকা থেকে আসা রমজান বলেন, ‘উপজেলায় এত পরিষ্কার হাসপাতাল আছে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। এই প্রথম এমন পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল দেখে আমি মুগ্ধ হলাম।’ হাসপাতালের কর্মচারী মো. সেকান্দর হোসেন বলেন,
 ‘এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন এই দৃশ্য দেখলে যেকোন রোগীর ভাল লাগবে।’
এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহলা অং মারমা বলেন, ‘কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। এই প্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। বিশেষ করে হাসপাতাল এলাকার ভেতরে ও  বাইরে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঝুড়ি (ভ্রাম্যমান ডাস্টবিন) বসানো হয়েছে; যাতে রোগী ও রোগীর সাথে আসা স্বজনরা যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে পারেন। ওইসব ময়লা ফেলার স্থানগুলো চিহ্নিত করে নির্দেশিকা কার্ডও স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি হাসপাতাল রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবার বাতিঘর। হাসপাতাল পরিস্কার থাকলে মনটাও ভাল থাকে। মন ভাল থাকলে রোগ তাড়াতাড়ি ভাল হবে। হাসপাতাল সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা অনুরোধ জানাব, সকলে মিলে যেন হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলব।’