ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে লিসবনে আনন্দ উৎসব

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে লিসবনে আনন্দ উৎসব

পর্তুগাল সংবাদদাতা

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২ | ১৩:২৫ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২২ | ১৩:২৫

পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে উৎসব মুখর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপিত হয়েছে। ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি আনন্দমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে বক্তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যক্ত করেন।

পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে পানি প্রবাহের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদীর উপর সেতু নির্মাণের দু:সাধ্যতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম মেয়াদের শেষপ্রান্তে ২০০১ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার পর তার দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা প্রকৌশলীগণসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত চীনা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাইলিং স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাত বছর পর এই সেতুর কাজ সফল সমাপ্তিতে দেশবাসী আনন্দে উচ্ছ্বসিত।

দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে সরাসরি যুক্ত হবার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

তিনি মন্তব্য করেন, বিদেশি অর্থায়ন ছাড়া এই কঠিন প্রকল্পটির সফল সমাপ্তি বাংলাদেশের জনগণকে রূপকল্প ২০৪১ অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। দেশের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম জানাচ্ছে তার সাহসিকতা আর সংকল্পের দৃঢ়তার জন্য। যার ফলে বাংলাদেশ তার ৫১ বছরের ইতিহাসের এই অন্যতম প্রধান সাফল্য অর্জন করল আর জনগণ তার দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন পূরণ করল।

আলোচনা সভা শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নির্মিত প্রতিপাদ্য সংগীত এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন

×