সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াতে প্রতিবাদ সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১ | ১১:২৭ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২১ | ১১:২৭
বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াতে ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভা করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০ টায় এ প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন পেশার মানুষ।
চিত্রশিল্পী ও সমাজ সংগঠক হাসিনা চৌধুরী মিতার সঞ্চালনায় এই প্রতিবাদ সভার শুরু হয়। তিনি বলেন, 'আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা একত্রিত হয়েছি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ধর্মন্ধতার বিরুদ্ধে।'
রেডিও বাংলা এডিলেডের তানজিলা ফেরদৌস তাইসিন বলেন, 'এরকম একটা ঘৃণ্য কাজে আমরা সবাই খুব অসস্থি ও মনোকষ্টে আছি এবং কেউ সমর্থন দিচ্ছি না। কেন এই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে?'
মেলবোর্ন থেকে লেখক ও কলামিস্ট নাদেরা সুলতানা নদী বলেন, 'ব্যাক্তিগতভাবে আমি খুবই হতাশ ও বিমর্ষ। আমরা অনেকেই নানা কারণে মৌন আছি, কিন্তু এই মৌনতাটাই এই চক্রটি কাজে লাগায়। তাই আমাদের মৌনতা ভেঙে প্রতিবাদ করতে হবে।'
সানি সঞ্জয় বলেন, 'আমরা সনাতন ধর্মীরা আসলে এখন মন্দিরের ঘন্টার মতো, যে আসে সেই আমাদের বাজায়।'
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক স্নিগ্ধা রিজওয়ানা বলেন, 'আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এই পরিস্থিতির জন্য অনুঘটক। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা একমুখীকরণ করতে হবে। সেইসঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও নজরদারিতে আনতে হবে।'
সভায় বক্তারা বলেন, 'আমরা এই একবিংশ শতকে এসেও সংখ্যালঘু নামক সবটি শুনছি, যা খুবই নিন্দনীয় একটি শব্দ এই শতকে এসে। কারণ সংখ্যালঘু শব্দটা একটা পরিসংখ্যানকে নির্দেশ করে মাত্র সেই হিসেবে অনেকেই তবে সংখ্যালঘু। আর সংখ্যাগুরু শব্দটাও কর্তৃত্ববাদী ও টোটালিটেরিয়ান বা সর্বগ্রাসী। এবং এই শব্দগুলোই কি কখনো কখনো অন্য মতবাদী বা অন্য ধর্মীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর যার ফলাফল সনাতন ধর্মীয় জনসংখ্যার ২৬% থেকে ৮% এসে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িক এই আঘাতগুলো দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং এই আক্রমণের ভয়াবহতার মাত্রাও বাড়ছে। অতীতের ঘটনাগুলোর যথাযথ ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রের গাফিলতিই আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এই হীন কাজ যারা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় মেলবোর্ন আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক এসরার ওসমান, অধ্যাপক সানিয়াত ইসলাম, ডঃ আলম মাহবুব, সমাজ সংগঠক জাইদি সজীব, কবি ওয়াজীহ রাজীব, সংগীত শিল্পী আদিলা নূর ও সাদিয়া আম্রিন, সিডনি থেকে মুক্তমঞ্চের সম্পাদক নোমান শামীম এবং ব্রিসবেন থেকে সংগীত শিল্পী অবনী মাহবুব।