রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম প্রয়াণ বার্ষিকী
কবিতা-গান-আলোচনায় কবিগুরুকে স্মরণ

রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ বার্ষিকীতে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় - সমকাল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:২৭ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:২৭
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় ঋতু ছিল বর্ষা। বাংলার বর্ষাকে তিনি অনিন্দ্য সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলেছেন অজস্র রচনায়। এই বর্ষা ঋতুতেই চিরবিদায় নেন তিনি। রোববার ২২ শ্রাবণ তাঁর ৮২তম প্রয়াণ বার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজনে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও সিরাজগঞ্জে কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়েছে।
আজ বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহে স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী চত্বরে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বকুলতলায় ‘বঙ্গবন্ধু, কবিগুরু ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার রায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত, থানার ওসি আকিবুল ইসলাম, কবি ও ছড়াকার সোহেল আমিন বাবু, আব্দুস সাদিক, নাট্যকার লিটন আব্বাস প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন দেশ, মাটি ও স্বাধীন ভূখণ্ড। আর কবিগুরু দিয়েছেন মনের খোরাক। বঙ্গবন্ধু, কবিগুরু ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত একই সূত্রে গাঁথা।
দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ সন্ধ্যায় শহরের মুজিব সড়কের দৈনিক ফতেহাবাদ কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক এম এ সামাদ।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন, মৃণাল সেন চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মৃর্ধা রেজাউল করীম, অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা ও অধ্যাপক লিয়াকত হোসেন হিমু।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বেলা সাড়ে ১১টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ্ আজম।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিকেলে উপজেলা হলরুমে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র শাহজাদপুরের আয়োজনে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস পালিত হয়। কেন্দ্রের সভাপতি শহীদুল্লাহ বাবলুর সভাপতিত্বে ও কাজী শওকতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা, আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবিকে স্মরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ইউএনও মো. কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কাছারীবাড়ি নওগাঁর পতিসরে কোনো আয়োজন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ও জেলার রবীন্দ্র ভক্তরা।
পতিসর রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রাহক মতিউর রহমান মামুন জানান, বিশ্বকবির নিজস্ব জমিদার কাছারীবাড়ি এই পতিসর। তিনি অসংখ্যবার এখানে এসেছেন। অথচ তাঁর প্রয়াণ দিবসে জাতীয় কিংবা স্থানীয়ভাবে কোনো আয়োজন করা হয়নি। দিবসটি সরকারিভাবে পালন করার দাবি জানান তিনি।
আত্রাইয়ের ইউএনও ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসের সব আয়োজন বন্ধ আছে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার অফিস ও প্রতিনিধি]