ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

হঠাৎ বন্ধুত্ব ভেঙে গেলে

হঠাৎ বন্ধুত্ব ভেঙে গেলে

বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়া মানে মুখ দেখাদেখি বন্ধ নয়...

ফাহমিদা রিমা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪ | ০৫:১৪ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ | ১১:৩৫

কাছের মানুষটি কি কেবলই আপনার ঘুরে বেড়ানোর সঙ্গী? মোটেই না! প্রিয় এবং ভালো মুহূর্তগুলোর জন্যও নয়, সে আপনার কষ্টের দিন এবং পছন্দ-অপছন্দের নানা কথার সাক্ষীও। আপনার অস্থিরতাকে কমিয়ে আনতে পারবে সে। আপনিও তাকে কাছে পেলে অন্যরকম এক ভালোলাগা খুঁজে পাবেন। এ তো রোমান্টিক সম্পর্কের বেলায়। বন্ধুত্বও কিন্তু এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই। তবে বন্ধুদের অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক টিকে থাকলেও একই চিন্তাধারার না হওয়ায় অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক টেনে নেওয়া যায় না। কারণ আমরা একসঙ্গে একই ভাবধারায় বড় হই না। আমাদের বড় হয়ে ওঠার কঠিন দিকটা হচ্ছে বিচিত্র পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। এই বিচিত্র পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে নতুন কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হই, চলুন– 

ঝগড়ার মানে এই নয় যে : আপনার একান্ত প্রিয় মানুষ বা বন্ধুটির সঙ্গে ঝগড়ার মানে এই নয় যে, তার সঙ্গে আপনার সব সম্পর্ক শেষ। কোনো কিছু ঘটার আগে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে হয়তো আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন, সব কিছুতেই একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তবে সে যদি আসলেই কিছু করে থাকে; যেমন– আপনার অবর্তমানে আপনার সম্পর্কে কুৎসা রটায়, আপনাকে বারবার ছোট করে তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার সরে আসা উচিত। 
সম্পর্ক ভেঙে পড়ার কারণ : আদর্শগত পার্থক্যটাও কিন্তু সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ। প্রিয় মানুষটি যদি অতিরিক্ত ড্রাগে আসক্ত হয়ে পড়ে, যা আপনার জন্য অস্বস্তিদায়ক। অন্যদের সঙ্গে প্রিয় মানুষটির ঘোরাঘুরি আপনাকে কষ্ট দেয়। কিংবা প্রতিনিয়ত মতের অমিল দেখা দেয়। এসব কিন্তু আপনাকে সরে আসারই তাগিদ দেয়। 

জানিয়ে দিন খারাপ লাগাটা : কেউই সিরিয়াস ঝগড়া পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার কাছের মানুষটিকে এটা জানানো উচিত, আপনি কেন তার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। আপনার অবহেলার কারণটা যদি সে না জানে, তবে তার পক্ষে ভুলগুলো সংশোধন করা অথবা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে। 
রেখে দিন অথবা ছিঁড়ে ফেলুন : সম্পর্ক ভাঙার পরবর্তী সময়টা খুবই কষ্টের। এই সময় বিষণ্নতা আপনাকে গ্রাস করতে পারে। এ সময়টায় আপনি রাগ করতে পারেন বা কাঁদতে পারেন। তবে তাকে মনের কথা জানিয়ে একটি বড় চিঠি লিখুন, যা আপনি তাকে বলতে চেয়েও কখনও বলতে পারেননি তাও লিখুন। তারপর চিঠিটা সংরক্ষিত কোনো স্থানে রেখে দিন অথবা ছিঁড়ে ফেলুন। এটি আপনাকে স্বাভাবিক হতে অনেকটা সাহায্য করবে! 

অন্যদের জড়াবেন না : আপনাদের মধ্যে যাই ঘটে থাকুক না কেন, তা যেন আপনার সার্কেলের অন্যদের মধ্যে না পড়ে। তাদের পক্ষ বেছে নিতে বলবেন না। অনেকেই এই ধরনের নাটক করে থাকেন এবং নিজের অজান্তেই অন্যদের আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ছাড়াছাড়ির পর আপনি তার মুখোমুখি যে হবেন না তা কিন্তু নয়। দেখা হয়ে যেতেই পারে। সেটা ক্লাস, কোনো পার্টিতে বা শহরের যে কোনো জায়গায়। তখন আপনি কীভাবে রিয়েক্ট করবেন এবং কী বলবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন, যাতে ঘটনাটি অস্বস্তিদায়ক না হয়। এই ক্ষেত্রে শুধু ‘হাই অথবা হ্যালো’ বলাটা ভালো দেখাবে না। কম কথা বললেও কথাবার্তায় আন্তরিক হতে হবে। বাইরের নতুন মানুষের সঙ্গে মিশুন। আগের বন্ধুদের সমস্যাগুলো ঝেড়ে ফেলুন। একটু আন্তরিক হলে খুব তাড়াতাড়ি নতুন একজনকে পেয়ে যাবেন। u

আরও পড়ুন

×