দশ হাজার পরিবারের পাশে ‘স্বপ্নযাত্রী’

স্বপ্নযাত্রীর স্বেচ্ছাসেবকরা ত্রাণসামগ্রী প্যাকেট করায় ব্যাস্ত...
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪ | ২৩:১৭
চট্টগ্রামের আনোয়ারার মালঘর গ্রামের ছেলে কামাল হোসেন। সাহসী ও উদ্যমী একদল তরুণ নিয়ে কামাল হোসেন গড়ে তুলেছেন ‘স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন’। স্বপ্নযাত্রীর গল্প ও বর্তমান বন্যায় তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে চলুন শুনি কামাল হোসেনের মুখে–
‘মালঘরে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছি, সমাজে শ্রেণিবৈষম্য, ধনী-গরিব ভেদাভেদ, অবহেলা অনাদরে বেঁচে থাকা মানুষ আর শিক্ষার অভাব। এসব আমাকে পীড়া দিত। ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করি ১১ জন মিলে। ধীরে ধীরে স্বপ্নযাত্রী বড় হয়। সদস্য বাড়ে। এখন কার্যনির্বাহী আছে ২৭ জন। সাধারণ সদস্য ৭১ জন। স্বেচ্ছাসেবক ২০০ জন। ৬০ জন ফুড ব্যাংকে। মানুষ এখন স্বপ্নযাত্রীকে ভালোবাসে। সংগঠনের যাত্রা ব্লাড নির্ণয় কর্মসূচি দিয়ে। আমরা ১১ জন ৫০০ টাকা করে চাঁদা দেই। আয়োজনে আরেকটি সংগঠনের সহযোগিতা নিই। মালঘর বাজারে ক্যাম্পিং করি, বিনামূল্যে। ব্যাপক সাড়া পড়ে। মানুষের ভিড় জমে। বৃদ্ধ, যুবক, নারী, কিশোর, এমনকি লাঠি ভর করেও লোকজন এলেন। গ্রামের সবাই খুশি। আমাদের দোয়া করলেন। ভালো লাগল আমাদের। বিপুল অনুপ্রাণিত হলাম। এ পর্যন্ত চারটি বিনামূল্যে রক্ত নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন করেছি। গরিব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিচ্ছি। ৫০ জন প্রতিবন্ধীকে ব্যাগ, ইউনিফর্ম, বই, খাতা ও কলম দিয়েছি। পড়াশোনায় উৎসাহিত, নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা, মানবসেবায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন স্কুলে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ১১ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার সহায়তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা টিমসহ কাজ করে যাচ্ছি। ৩০ জনের একটি টিম বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফেনী, লক্ষ্মীপুর বর্তমানে অবস্থান করছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ৬০০ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার পরিবারের মাঝে এ সহায়তা প্রদান করা হবে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার পরিবারকে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, আমরা এর বাস্তবায়ন করতে পারব।’ u
- বিষয় :
- পরিবার