যত্নে সাজুক অফিসের ডেস্ক

কে এন দেয়া
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪ | ০৮:৪৫
দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৯ ঘণ্টা অফিসেই কাটিয়ে দেন চাকরিজীবীরা। অথচ ঘর সাজানোয় তাদের যত উৎসাহ, অফিসের ডেস্ক সাজিয়ে রাখতে ততটাই অনীহা। কেন বলুন তো? অফিসের ডেস্কটা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখলে শুধু যে মন ভালো থাকে তাই নয়; বরং কাজে গতি আসে, কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। চলুন আপনার ডেস্কটাকে কীভাবে নতুন একটা জীবন দেওয়া যায়, তার কিছু উপায় দেখে নিই–
ডেস্ক সাজানোর অনুমতি আছে তো?
প্রথমেই জেনে নিন আপনার অফিসের ডেস্কটি সাজানোর অনুমতি আছে কিনা। কিছু অফিসে ডেস্কে ব্যক্তিগত জিনিস রাখতে দেওয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে আসলে আপনাকে অফিস থেকে যেমন ডেস্ক দেওয়া হয়েছে তেমনভাবেই রাখতে হবে, খুব বেশি এদিক-ওদিক করা যাবে না।
শুধু তাই নয়, যারা শিফট ডিউটি করেন, তাদের একই ডেস্ক কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জিনিস দিয়ে ডেস্ক ভরে ফেললে আপনার সহকর্মীরা বিরক্ত হতে পারেন। কী করবেন তাহলে? এ ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নিন কী কী রাখতে পারবেন ডেস্কে।
সাজানোর আগে গুছিয়ে নিন
প্রথমেই ডেস্কের চেয়ার-টেবিল আপনার জন্য সঠিক কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন।
চেয়ার
● এমন একটি চেয়ার ব্যবহার করুন, যাতে আপনার মেরুদণ্ড আরাম পায়।
● চেয়ারের উচ্চতা এমন হবে যেন আপনার পায়ের তলা মেঝেতে থাকে। তা করতে না পারলে পা রাখার জন্য ছোট একটি টুলের ব্যবস্থা করুন, যাতে আপনার ঊরু মেঝের সমান্তরালে থাকে।
● চেয়ারের হাতলে আরাম করে কনুই রেখে কাজ করা যায় কিনা, এটাও দেখে নিন।
টেবিল
● টেবিলের নিচে পা সহজে নাড়াচাড়া করা যাবে। ডেস্কের নিচে ব্যাগ বা কোনো বক্স রাখবেন না, এতে পা রাখার জায়গায় টান পড়তে পারে।
● কিবোর্ড ও মাউস সহজে ব্যবহার করা যায় এমন অবস্থানে রাখুন।
● চোখ থেকে অন্তত এক হাত দূরত্বে রাখুন মনিটর।
● অফিসে ল্যাপটপ ব্যবহার করলেও চেষ্টা করুন এক্সটার্নাল কিবোর্ড ও মাউস ব্যবহার করার। এতে আপনার হাতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
● কাজের সময়ে যেসব জিনিস অহরহ দরকার হয়, যেমন– কলম, নোটপ্যাড, স্ট্যাপলার, ফোল্ডার– এসব হাতের কাছেই রাখুন।
● কাজের প্রয়োজনে ঘন ঘন টেলিফোন ব্যবহারের দরকার হলে স্পিকার বা হেডসেটের ব্যবস্থা করে নিন।
ডেস্ক সাজানোর ছোট্ট কিছু টিপস
গাছ
অফিসের ডেস্কে খুব সহজে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে পারে গাছ বা ফুলের উপস্থিতি। তার মানে এই নয়, প্রতিদিন ফুল কিনে ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখতে হবে। ছোট্ট একটি ইনডোর প্লান্ট যেমন মানিপ্লান্ট বা স্নেক প্লান্টই যথেষ্ট।
মগ
কাজের চাপে মস্তিষ্ক সচল রাখতে চা-কফি ছাড়া চলেই না! ডেস্কে তো চা-কফির মগ রাখতেই হয়। এই মগটা বেছে নিন নিজের পছন্দ অনুযায়ী। প্রিয় রং ও নকশার মগটি আপনার কাজের ফাঁকে এনে দেবে এক মুহূর্তের স্বস্তি।
পারিবারিক ছবি
মা-বাবা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানের একটি ছোট ছবি সুন্দর ফ্রেমে সাজিয়ে রাখতে পারেন ডেস্কের এক কোণে। অফিসের ডেস্কে ব্যক্তিগত এই ছোঁয়া আপনার মনও ভালো রাখবে।
প্রিয় উক্তি
ভেবে দেখুন, আপনার জীবনে কি এমন কোনো উক্তি, গানের কলি বা কবিতার ছত্র আছে, যা খুব কঠিন সময়েও আপনার মনে সাহস জোগায়? সে উক্তিও ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখতে পারেন আপনার ডেস্কে। কাজের চাপে বেহাল হলে এ উক্তিই চট করে আপনার কাজে গতি এনে দেবে।
ডেস্ক সাজাতে করবেন না এসব ভুল
● আপনার ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে বেশি তথ্য প্রকাশ করে, এমন কিছু রাখবেন না ডেস্কে। যেমন– আইনি কাগজপত্র, জীবনবৃত্তান্ত, সন্তানের স্কুলের রেজাল্ট কার্ড ইত্যাদি।
● আপনার প্রিয় অভিনেতা বা খেলোয়াড়ের পোস্টার, ছবি ইত্যাদি।
● আপনার ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে এমন কিছু।
● সুগন্ধি ধূপ বা মোমবাতি
● এঁটো খাবারের প্লেট বা মগ
● চিরুনি, নেইলকাটার v
- বিষয় :
- কম্পিউটার