ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

দারাজ ১১.১১: কেনাকাটা ও সুখকর স্মৃতির রোমাঞ্চকর মুহূর্ত

দারাজ ১১.১১: কেনাকাটা ও সুখকর স্মৃতির রোমাঞ্চকর মুহূর্ত

.

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:১৯

খিলগাঁও নিবাসী গৃহিণী সিরাজুম মুনিরা, ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার মধ্যেই হাতের সব কাজ শেষ করেছেন। তাঁর স্কুলপড়ুয়া দুই সন্তান এক সঙ্গে মাকে ডেকে ড্রয়িং রুমে বসায়। মা হেসে ফোন হাতে দারাজ অ্যাপ ঘেঁটে দেখেন। ‘প্রথমে কার্টে কী যোগ করব?’ মায়ের প্রশ্নে মেয়ের চোখ চকচক করে উঠল। মেয়ে আবদার করে বলে, ‘নতুন এসেছে এমন একটি পোশাক চাই! আমার প্রিয় ব্র্যান্ডের কিছু এক্সক্লুসিভ ডিজাইন এসেছে।’ তখন ভাই যোগ করে, ‘আর গ্যাজেটগুলো!’ মা সেখানেও সম্মতি দিলেন। এবং পছন্দের গ্যাজেট কার্টে যোগ করলেন। 
নভেম্বর শুরু হয়ে গেছে। দারাজও বছরের সবচেয়ে বড় সেল দেওয়া শুরু করেছে। তাইতো নভেম্বরের ১০ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত অধির অপেক্ষা করেন ক্রেতারা। ফোন হাতে নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে বসেন; আর স্ক্রিনের ওপর দারাজ অ্যাপের অফারগুলো দেখতে থাকেন। ইলেকট্রনিকস থেকে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে ফ্যাশন– সবকিছুই দারাজ ১১.১১ এ সেরা দামে পাওয়া যায়। প্রায় দেড় লাখ হট ডিল, হাজার হাজার বিক্রেতার সহায়তায় দারাজ ১১.১১ অবিস্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করে, মাত্র একটি ক্লিকে। মুহূর্তেই সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার মাধ্যমে পরিবারের একে অপরের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার আরেকটি উপলক্ষ তৈরি হয়। গৃহিণী সিরাজুম মুনিরা ও তাঁর পরিবারের কেনাকাটার আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দারাজ ১১.১১ এর ৫০ কোটি টাকার সমমূল্যের ভাউচার সম্ভার। ৮০% পর্যন্ত ফ্ল্যাশ সেল তাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে এক প্রকার অ্যাডভেঞ্চারেই পরিণত করেছে। মেয়ে হঠাৎ একটি  কম্বল দেখে বলে ওঠে, “মা, এই কম্বলটা না ওইদিন আমরা দোকানে দেখেছিলাম, অনেক দাম বলেছিল। দেখ এখন একেবারেই হাতের নাগালে, এটা দাদুর জন্য পারফেক্ট হবে!” আরামদায়ক এই উপহারটির কথা ভেবে পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। দারাজ ১১.১১ শুধু কেনাকাটা বা সঞ্চয়ের জন্য নয়, এটি  সুন্দর উপহার দেওয়ার সুযোগও। মা বলেন, “তোমাদের চাচ্চুর ছেলের জন্য এই দোলনা টা কেমন হবে?” ছেলে মেয়ে দুজনই বলে, “অনেক সুন্দর।” তারা নিজেরাও ইতিমধ্যে মা-বাবার জন্য পোশাক থেকে শুরু করে ট্রেন্ডি এক্সেসরিজকার্টে অ্যাড করে নিয়েছে। ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ক্যাটেগরিতে নতুন নতুন পণ্যের থেকে পরিবারের সবার জন্য কিছু না কিছু কেনার আনন্দই আলাদা। দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজল। ছেলে বলে, “মা, তাড়াতাড়ি করো! ১১% ডিসকাউন্ট ভাউচার মাত্র ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে!” এই বিশেষ ভাউচারের জন্য পরিবারটি যেন এক প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এছাড়া ভাউচার ম্যাক্স থেকে ভাউচার আগেই অ্যাড করে নেওয়াতে এখন পণ্যের দামও অনেক কমে গেছে। “মা, কিলার ডিল-এর জন্যই আজ এত কম দামে ফার্নিচারগুলো পেলাম। আর তোমার জন্য এই ফোন।” মা মুচকি হাসেন। “কই, তোমাদের হলো?” বাবা ডেকে বলেন সবাইকে। “দারাজের ১১.১১ তে আরও লাভ করা যায় পেমেন্টের সময়। ওদের সব রকমের পেমেন্ট ব্যবস্থাই আছে। আমার বিকাশ আর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকেই অনেক ছাড় পাচ্ছি। অনেক ব্যাংকই তাঁদের কার্ডে পেমেন্টে বিশেষ ছাড় দিয়েছে। ফার্নিচার আর তোমাদের মায়ের ফোন ইএমআইতে কিনব, কারণ ৬ মাস পর্যন্ত ০% ইন্টারেস্টে এই সুবিধা পাচ্ছি।”
দারাজে শুধু বিশাল ছাড় নয়, আছে ফ্রি ডেলিভারির সুবিধাও। “এই ফ্রি ডেলিভারির ব্যাপারটা যে কত স্বস্তির”, মা উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন। “সব কিছুই কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই সরাসরি বাসায় দিয়ে যাবে।” এ ব্যাপারটি পুরো কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে মসৃণ ও ঝামেলাহীন করে। কেনাকাটার পাশাপাশি এ পরিবারটি উপলব্ধি করে, তারা কেনাকাটা করে শুধুই নিজেদের জন্য নয়, বরং স্থানীয় অনেক উদ্যোক্তা ও বিক্রেতার ব্যবসাকে  সমর্থন করেও ভূমিকা রাখছে। মা বলেন, “আমরা শুধু কেনাকাটা করছি না, বরং অনেক মানুষের স্বপ্ন পূরণে অংশ নিচ্ছি।” এতে সন্তানদের মুখে গর্বের হাসি ফোটে। দারাজ ১১.১১ সত্যিই দেশের হাজার হাজার বিক্রেতার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা তাদের ব্যবসা গড়ে তুলতে পারে। এর প্রমোশন করে এফিলিয়েটরা আবার নতুন আয়ের সুযোগ করতে পারছে।
প্রায় ভোর হতে চলল। পরিবারের সবার মুখেই একটি তৃপ্তির চিহ্ন। কেনাকাটা শেষে পরিবারটি অনুভব করে দারাজ ১১.১১ কেবল একটা সেল নয়; এটি তাদের জন্য একটি আনন্দময় ঐতিহ্য। স্মৃতি তৈরির, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর, এবং একসঙ্গে সঞ্চয়ের এই মুহূর্তগুলো প্রতিবারই তাদের হৃদয়ে নতুন করে জায়গা করে নেয়। v

আরও পড়ুন

×