ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কমলার খোসার নানা ব্যবহার

কমলার খোসার  নানা ব্যবহার

ফাইল ছবি

মৌ মণি পুষ্প

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:৩৯

ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ কমলা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে এর খোসাও কিন্তু কম উপকারী নয়। কমলা খেয়ে সাধারণত এর খোসা আমরা ফেলে দিই, কিন্তু কমলার খোসা মোটেও ফেলনা জিনিস নয়, বরং বিভিন্ন গুণাগুণে পরিপূর্ণ, যা বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো যায়। রান্নাঘর, প্রসাধনী, ঘর পরিষ্কার, বাগান ও স্বাস্থ্য, সব ক্ষেত্রেই কমলার খোসার রয়েছে নানা ব্যবহার। কমলার খোসা কীভাবে কাজে ব্যবহার করবেন জেনে নিন।  
lকমলার খোসা গ্রেট করে (জেস্ট) কেক, কুকি, ম্যারিনেট ও সস তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এটি খাবারে সুন্দর সুগন্ধ ও স্বাদ এনে দেয়।
lশুকনো কমলার খোসা গুঁড়া করে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং উজ্জ্বলতা আনে।
lকমলার খোসার পাউডার দুধ বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো ও দাগ দূর করার জন্য ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
lকমলার খোসায় থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণাগুণ ব্রণ ও দাগ কমাতে সাহায্য করে।
lতৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কমলার খোসা জাদুর মতো কাজ করে। বাটা, গুঁড়া বা সেদ্ধ করে ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।  
lঘরে প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনার হিসেবেও কমলার খোসা ব্যবহার করা যায়। শুকনো কমলার খোসা দারচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে চুলায় ফোটালে ঘরে সুন্দর সুগন্ধ ছড়ায়।
lজুতা ও ব্যাগের দুর্গন্ধ দূর করতেও দারুণ কাজে দেয় কমলার খোসা। শুকনো কমলার খোসা জুতা বা ব্যাগের মধ্যে রাখলে দুর্গন্ধ দূর হয়।
lপ্রাকৃতিক ক্লিনার হিসেবে অনেক আগে থেকেই কমলার খোসা ব্যবহার করে আসা হচ্ছে। কমলার খোসা ভিনেগারে ভিজিয়ে কাচ, কাঠ অ্যাক্রেলিকসহ বিভিন্ন সারফেসে ক্লিনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
lকমলার খোসার প্রাকৃতিক গন্ধে পোকামাকড় দূরে থাকে। জানালার কাছে দারচিনি ও লবঙ্গের সঙ্গে শুকনো কমলার খোসা রাখলে এটি কার্যকরভাবে বিভিন্ন পোকামাকড় ঘরে আসা আটকায়।  
lঅন্যান্য বিভিন্ন সবজির খোসার মতোই কমলার খোসাও বাগানের কম্পোস্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কমলার খোসা কম্পোস্টে নাইট্রোজেন যোগ করে, যা মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া কম্পোস্ট বিনের দুর্গন্ধ কমানো যায় কমলার খোসা দিয়ে।
lবাগানে পোকামাকড় প্রতিরোধক হিসেবেও একে কাজে লাগানো যায়। পোকামাকড় এর গন্ধ পছন্দ করে না, তাই কমলার খোসা বাগানের গাছগুলোয় ব্যবহার করলে পোকামাকড় শত হাত দূরে থাকে।
lকমলার খোসায় থাকা ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া কমলার খোসায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
lবিজ্ঞানীদের গবেষণায় কমলার খোসা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি কমলার খোসায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ থাকায় মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর।
lকমলার খোসা দিয়ে চা বানিয়ে সর্দি-কাশির আরাম পাওয়া যায়। গরম চায়ের সঙ্গে কমলার খোসা অথবা শুধু গরম পানিতে কমলার খোসা ভিজিয়ে খেলেও কাজ হয়।
lকমলার খোসার গন্ধ মনকে শান্ত করে, সতেজ ও ফুরফুরে রাখে, যা মানসিক চাপ কমায়।
lকমলার খোসা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমায়। v

 

আরও পড়ুন

×