ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধু খাওয়ার উপকারিতা

.

আল আমিন 

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ০০:১৪

মধু অতি পরিচিত। পুরোনা এবং বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটি এক ধরনের ইমিউনিটি বুস্টার, যা মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মধু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ফাঙ্গাস– এই তিন ধরনের জীবাণুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বর্তমান বিশ্বে মধু অনেক খাদ্য এবং ওষুধের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কোনো বয়সের একজন মানুষ নিয়মিত মধু খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন। 
মধুর গুণাগুণ
পুষ্টিগুণে ভরা মধুতে উচ্চশক্তির ক্যালরি, পুষ্টি উপাদান যেমন– কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান; যা শরীরে শক্তি জোগায়। মধু ক্ষতের দুর্গন্ধ দূর করে এবং ক্ষত নিরাময় ও চিকিৎসায় সহায়ক। মধু খাবার হজমে সহায়তা করে, ক্ষুধা বাড়ায়। অম্লতা ও আন্ত্রিক রসের নিঃসরণকে মধু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। নিয়মিত মধু খেলে বুক জ্বালা ও ঢেঁকুর তোলা দূর হয় এবং পাকস্থলীর আলসার নিরাময় হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মধু অন্যতম উপাদান। নিয়মিত মধু সেবনে আপনিও পেতে পারেন দীর্ঘ জীবন। পেশিতে টান লাগা কমে নিয়মিত মধু খেলে। নিয়মিত মধু খেলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয়। প্রাকৃতিক এ উপাদান পাকস্থলীর উত্তম বন্ধু। পেটের যে কোনো পীড়ায় এটি উপকারী। লোকজ ওষুধ হিসেবে যকৃৎ রোগের চিকিৎসায়ও মধু ব্যবহৃত হয়। স্নায়ুবিক দুর্বলতা ও অবসাদে মধু পান অত্যন্ত উপকারী। ক্ষেত্রবিশেষে চক্ষুরোগেও মধু কার্যকরী। শিশুর শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধিতে মধু সেবন সহায়ক। মধু সর্দি ও কাশি কমাতে ভূমিকা রাখে।
মধু পানের নিয়ম   
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ও নিয়মানুযায়ী পরিমাণমতো মধু পান করলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মধু খেতে পারেন।  
যেভাবে খাবেন
হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে পূর্ণ ফল পাওয়া যায়। মধুর ঠান্ডা দ্রবণ অম্লতা বাড়ায় এবং পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটায়। একেবারে খালি পেট এবং প্রধান খাবারের পরই মধু খাওয়া ঠিক নয়।  
যারা নিয়মিত মধু খান তারা সকালে খালি পেটে পানি পান করার অন্তত ১৫-২০ মিনিট পর মধু সেবন করবেন। পূর্ণ বয়স্ক লোক প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ গ্রাম এবং একজন শিশু গড়ে ১০ গ্রাম মধু খেতে পারবে। অবশ্যই দিনে ৬ চামচের বেশি মধু খাওয়া উচিত নয়। অল্প গরম দুধের সঙ্গে মধু সেবন করা ভালো অভ্যাস। চায়ের সঙ্গে মধু খাওয়া যেতে পারে। সকালে নাশতার পাশাপাশি প্রতিদিন আধা চা চামচ মধু খাওয়া ভালো।  ডায়াবেটিক রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মধু খাওয়া ঠিক নয়। যেভাবেই খান না কেন খাঁটি মধু খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
লেখক: মৌ পালন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত

আরও পড়ুন

×