জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক সভা
বাদল দিনের বন্দনা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের সঙ্গে সুহৃদরা
আব্দুর রাকিব
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫ | ০০:৩৯
‘এমন দিনে তারে বলা যায়/এমন ঘনঘোর বরিষায়।/এমন দিনে মন খোলা যায়–/এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরোঝরে/তপনহীন ঘন তমসায়।।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সাংগঠনিক আলোচনার ফাঁকে চলে বর্ষাবন্দনা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ জুন মার্কেটিং বিভাগের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক। সুহৃদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সমকাল সুহৃদ সমাবেশ জবি নতুন কমিটির সবাইকে অভিনন্দন। সুহৃদরা ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সৃজনশীলতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং তাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজ আরও বেশি বেগবান করবেন– এটিই আমরা প্রত্যাশা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমকাল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি যে সামাজিক ও মানবিক কাজ করে যাচ্ছে এটি জরুরি। আমরা সব সময় ভালো কাজ ও উদ্যোগের সঙ্গে আছি।’
অনুষ্ঠানে বর্ষার গান, আবৃত্তি ও বাঁশির সুরে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ছিল সুহৃদদের। জবি সুহৃদ সভাপতি রাকিবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাফা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সুহৃদ বিভাগীয় সম্পাদক আসাদুজ্জামান, জবি সমকাল প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য শাহীন আলম শাওনসহ অর্ধশত সুহৃদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আত্মোন্নয়ন এবং সৃজনশীলতার জন্য সামাজিক সংগঠনে সক্রিয় যুক্ততা জরুরি। সাংগঠনিক চর্চার মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাজ আমাদের নিজেকে আবিষ্কার করতে সহায়তা করে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে।’
সুহৃদ সভাপতি রাকিব বলেন, ‘আমরা সমকাল সুহৃদ জবি পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত মানোন্নয়ন করতে চাই।’ v
সুহৃদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- বিষয় :
- সভা