কার্ড ব্যবহারে সচেতন থাকবেন যেসব বিষয়ে
জেনে রাখুন

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩:৪৫ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩:০৬
পরিশোধ এবং লেনদেনের জন্য কার্ড মূলত তিন ধরনের। এগুলো হলো– ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড। ডেবিট কার্ড এক ধরনের পেমেন্ট কার্ড, যা গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ইস্যু করা হয় এবং গ্রাহক হিসাব থেকে সরাসরি অর্থ বিয়োজনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে আর্থিক লেনদেন পরিচালনার সুবিধা প্রদান করে। ক্রেডিট কার্ড এক প্রকারের পেমেন্ট কার্ড যার মাধ্যমে কার্ডের মালিক পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট তারিখে সমন্বয়যোগ্য ঋণের ভিত্তিতে বর্তমানে লেনদেন পরিচালনা করতে পারেন। প্রি-পেইড কার্ড নামে আরও এক ধরনের পেমেন্ট কার্ড পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমাকরণের বিপরীতে এ কার্ড ইস্যু করা হয়। এই জাতীয় কার্ড গ্রহণের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গ্রাহকের হিসাব থাকার প্রয়োজন নেই।
কার্ডের গোপন তথ্য যেমন– পিন কারও সঙ্গে শেয়ার করা বা কোথাও লিখে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এগুলো মুখস্থ রাখতে হবে। কোনো কারণে কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে কার্ডটি বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পাশাপাশি থানায় জিডি করতে হবে। আপনার নিরাপত্তার স্বার্থে শুধু পিন নয়, আপনার কার্ড নম্বর, ক্রেডিট লিমিট, পিন, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, সিকিউরিটি ডিটেইলস এবং এ সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। কার্ডের স্টেটমেন্টে কোনো ধরনের অসংগতি পরিলক্ষিত হলে রিপোর্ট করুন।
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা সেজে ফোন করা হলে কোনো অবস্থাতেই নিজের কার্ড-সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য (পিন/পাসওয়ার্ড) দেয়া যাবে না। মনে রাখবেন, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কাস্টমার কেয়ার থেকে কখনোই গ্রাহকের কাছে এসব তথ্য চাওয়া হয় না।
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণের আগে অবশ্যই এগুলোর চার্জ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে। নিজের আর্থিক সক্ষমতা বুঝে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে। কেননা সময় মতো কার্ডের বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ করার প্রয়োজন হতে পারে।
কার্ড নেওয়ার আগে কোন কার্ডে কী সুবিধা আছে, তা জেনে নেওয়া ভালো। জেনে-বুঝে সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি কার্ডটি বেছে নেবেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্ডের বিভিন্ন সুবিধার কথা জানাতে প্রতিষ্ঠানগুলো খুদে বার্তা বা ই-মেইল করে থাকে। আরও অফার জানতে আপনি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন।
এটিএমে যেভাবে ব্যবহার করবেন
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা অন্য কোনো ব্যাংকের বুথে গিয়ে প্রথমে কার্ড প্রবেশ করার পর পিন চাপতে হয়। তার পর পিন আইডেন্টিটি চেক হওয়ার পর রিকোয়েস্টটি ব্যাংকের এটিএমের সুইচে যায়। তারপর সেখান থেকে ভেরিফাই হলে অ্যাকাউন্টের টাকা উত্তোলন করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় খুব সহজেই দেশের যে কোনো প্রান্তে অবস্থিত এটিএম বুথ থেকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে নগদ টাকা উত্তোলন করা যায়। ফলে দূর-দূরান্তে ভ্রমণে বা শপিং করতে নিজের সঙ্গে নগদ টাকা বহন করার ঝুঁকি হ্রাস করা যায়।