ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

প্যারিসে ‘পাগলাটে’ ফাইনাল: প্রতিশোধ নাকি পুনরাবৃত্তি

প্যারিসে ‘পাগলাটে’ ফাইনাল: প্রতিশোধ নাকি পুনরাবৃত্তি

ছবি:টুইটার

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২২ | ০৫:০৬ | আপডেট: ২৮ মে ২০২২ | ০৫:০৭

পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন শহরগুলোর একটি প্যারিস। ওতেল দো ভিল, আইফেল টাওয়ার, ল্যুভর জাদুঘর কিংবা তুর সাঁ-জাক- এমন অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনার সৌন্দর্য প্রতিনিয়ত টানছে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মানুষকে। কেবল স্থাপনাই নয়; ফ্যাশন, আধুনিকতার ছোঁয়া আর সাজানো গোছানো এই শহর পশ্চিমাদের অবকাশ যাপনেরও অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। যেখানে ফুটবলও পাখা মেলেছে তার আপন আলোয়। 

প্যারিসের উত্তরে দেশটির সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম স্তেদো দ্য ফ্রান্স, যা আবার ইউরোপের মধ্যে সপ্তম বড় ফুটবল মাঠ। ঐতিহাসিক এ শহরেই বসছে ঐতিহ্যের এক মহারণ- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। যেখানে আজ রাত ১টায় মুখোমুখি হবে ইউরোপের দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল।

প্রতিশোধ নাকি পুনরাবৃত্তি

স্তেদো দ্য ফ্রান্স- যে মঞ্চটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য মোটেও অচেনা নয়। ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হয় এই ভেন্যুতে। যেখানে দেল বস্কের রিয়াল শিরোপা উৎসব করেছিল ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে। ২০০৬ সালে একই মাঠে বার্সাও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি জিতেছিল। এবার পালা আনচেলত্তির রিয়ালের। ক্যাসিয়াস-কার্লোসরা যেখানে ফরাসি সৌরভ ছড়িয়েছেন সেখানে অবশ্য এবারের প্রতিপক্ষ মোটেও ভ্যালেন্সিয়ার মতো কেউ নয়। 

রিয়াল ১৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও লিভারপুলের শোকেসে আছে ৬টি। ১৯৮১ সালের ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে প্যারিসে রিয়ালকে হারিয়েছিল লিভারপুল। তবে ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুলকে কাঁদিয়ে ১৩তম ট্রফিটা ঘরে তোলে রিয়াল। এবার ২০১৮ পুনরাবৃত্তি ঘটাবে রিয়াল নাকি শোধ নেবেন মোহামেদ সালাহরা। 

বেনজেমা বনাম সালাহ

২০১৮ সালের হিসাবটা সুদে-আসলে মিটিয়ে দিতে চান মোহামেদ সালাহ। ওই বাজনাই বাজাচ্ছেন তিনি। তবে রিয়ালের আছে করিম বেনজেমা। ফাইনালে যেকেউ হতে পারেন নায়ক। এবারের আসরে রেডসদের হয়ে সবচেয়ে বেশি আট গোল করেছেন  সালাহ। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৫ গোল ফ্রান্সম্যান বেনজেমার নামে। 

ভিনিসিয়ুস আছেন বলে

কারো চোখে তিনি আগামীর নেইমার, এমবাপ্পে কিংবা ব্রাজিলের মূল তারকাকে। ম্যাচের প্রথম থেকে শেষ সেকেন্ড অবধি তার সর্বোচ্চ উজাড় করে খেলার মনোভাব প্রতিপক্ষের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবিশ্বাস্য এক-আধটা গোল করে ও বেনজেমাকে দিয়ে গোল করিয়ে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। তিনি আছেন বলেই আরেকটু আশাবাদী হতো রিয়াল।

ডাগআউটের এপিঠ-ওপিঠ

কার্লো আনচেলত্তি কিংবা জার্গেন ক্লপ অভিজ্ঞতার ঝুলি দু'জনেরই ভরা। প্রাপ্তিতে ক্লপের চেয়ে আনচেলত্তি এগিয়ে। এ নিয়ে পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন তিনি। তবে চারবার দলকে ফাইনালে তোলে ক্লপও পিছিয়ে নেই। যদিও ক্লপ আর আনচেলত্তি মধ্যে প্রথমজন খুনি মানসিকতার, অন্যজন পাগলাটে স্বভাবের। দু'জনের ছকই ৪-৩-৩ ফরমেশনে আক্রমণাত্মক ফুটবল দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করা।

আরও পড়ুন

×