ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সোহানের চাই ‘ইমপ্যাক্ট’ ব্যাটার

সোহানের চাই ‘ইমপ্যাক্ট’ ব্যাটার

ছবি: বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২২ | ০৪:৩৮ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ | ০৪:৩৮

টেস্ট বা ওয়ানডের মতো টি২০ ক্রিকেটে নিয়মিত ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে খেলা যায় না। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডার সাজাতে হয়। কখনও কখনও লোয়ার অর্ডার ব্যাটারকে টপ অর্ডারে নামাতে দেখা যায়। ম্যাচের দাবি মেটাতেই এই কৌশল।

বাংলাদেশের টি২০-র নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান রোববার জানান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রভাব ফেলতে পারে এমন ব্যাটারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে দল হিসেবে খেলার ওপর গুরুত্ব থাকবে সোহানের। কোচিং স্টাফের সঙ্গে পরামর্শ করে সতীর্থদের একাট্টা হওয়ার আহ্বান জানাবেন তিনি।

টি২০-তেও মুখস্থ গেম খেলতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। ব্যাটিং অর্ডারে খুব একটা অদল-বদল করা হয় না। সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রভাবের কারণে সেটা করাও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যদিও জাতীয় দলের সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে গেম প্ল্যান বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে এগিয়েছেন। 

চন্ডিকা চলে যাওয়ার পর সে ধারা থাকেনি। সিনিয়রদের হাতে চলে গিয়েছিল দলের নিয়ন্ত্রণ। তাই এবারের সিরিজে সিনিয়ররা না থাকায় কোচিং স্টাফের কাজ কিছুটা সহজ হবে। ম্যাচের পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডার সাজাতে পারবেন রাসেল ডমিঙ্গো। 

অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে সোহান সে বার্তাই দিলেন, ‘টি২০-তে আমরা যারা মিডল বা লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করি এখানে আমাদের রানের সংখ্যার চেয়ে স্ট্রাইক রেট বা ইমপ্যাক্টটা (প্রভাব) গুরুত্বপূর্ণ। ১৫ বা ২০ রান ছোট মনে হতে পারে; কিন্তু ওই রান খেলার ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে চিন্তা থাকবে। আমি যখন খেলোয়াড় হিসেবে খেলি, আমার লক্ষ্য থাকে দল আমার কাছে কী চায় সেটা পূরণ করা। যেহেতু এই সিরিজে অধিনায়কত্ব করছি, আমার লক্ষ্য থাকবে দল হিসেবে কেমন খেলতে পারি, ওটা নিশ্চিত করা।’

বিপিএল টি২০ টুর্নামেন্টে শেখ মেহেদী অলরাউন্ডার ভূমিকায় খেলেন। ঝড় তোলার মতো শটও আছে তাঁর হাতে। তাকেই কিনা জাতীয় দলে ব্যাটিং করতে হয় লোয়ার অর্ডারে। তিনি জাতীয় দলে একেবারেই যে টপ অর্ডারে ব্যাট করেননি, তা নয়। যে ম্যাচগুলোতে সুযোগ পেয়েছেন, তাতে তাঁর চেষ্টা ছিল কার্যকর ব্যাটিং করার। কখনোই বল ডট করার মানসিকতা দেখাননি তিনি। সিনিয়র ব্যাটারদের ভূমিকা ছিল উল্টো। ডট বল খেলার প্রবণতা ছিল বেশি। 

মাহমুদউল্লাহ বা মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে ঝোড়ো ইনিংস পায়নি দল। আবার সিনিয়রদের কারণে ওপরের দিকে ব্যাট করার সুযোগ পেতেন না জুনিয়ররা। তারুণ্যনির্ভর বর্তমান দলে সে সুযোগ এসেছে বলে মনে করেন সোহান, ‘আমাদের সিনিয়র যাঁরা আছেন তাঁদের যে অবদান তা এক দুই কথায় শেষ করতে পারব না। একটা জিনিস, এখন সব কিছু প্রক্রিয়ার ভেতরে আছে। আমাদের জন্য এটা একটা সুযোগ সামনে এগিয়ে নেওয়ার। তাঁরা (সিনিয়ররা) বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন। আমরা যারা জুনিয়র আছি বা খেলছি, তাদের দায়িত্ব পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া। এটা সবার জন্য সুযোগ। মূল বিষয় হচ্ছে, আমাদের দলগতভাবে ভালো খেলতে হবে। সেটা করতে পারলে ভালো হবে। আর টি২০-তে ব্যাটিং অর্ডার সেট করে কিছু করতে পারবেন না। অনেক সময় পরিস্থিতি একেক রকম থাকে। পরিস্থিতির ওপর সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়া স্কোয়াডের সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ২০২১ সালে টি২০ বিশ্বকাপে খেলেছেন অনেকেই। কাছাকাছি বয়সের হওয়ায় জিম্বাবুয়েতে স্বাধীনতা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারবেন তাঁরা। অধিনায়ক সোহানকে মানসিকভাবে যেটা এগিয়ে দেবে।

আরও পড়ুন

×