তিন মাস আগে হলে সমর্থন দিতাম না: ফাহিম

মুশফিকুর রহিম ও তার বিকেএসপির কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম। ছবি: ফাইল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০১:৩৩
মুশফিকের সিদ্ধান্তটা এখন আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়। এজন্য যৌক্তিক বলছি, সম্প্রতি মোসাদ্দেক ভালো খেলছে। সোহান আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। আফিফ একমাত্র খেলোয়াড় যে কিনা বেশ কিছুদিন আগে থেকে টি২০ টাইপের ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে। মুশফিকের এই সিদ্ধান্ত তিন মাস আগে হলে আমি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তাম। কারণ, সোহানকে তখন এখনকার অবস্থায় দেখিনি। মোসাদ্দেককে তো একেবারেই না।
আমাদের শুধু খেলোয়াড় বদলালেই হবে না, ভালো বিকল্পও লাগবে। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম ওপেনিং ব্যাটারের অভাব নেই। তামিম যাওয়ার পরে, লিটন চোটে পড়ায় দেখেছি আমাদের হাতে ওপেনার নেই। আমাদের কাজই হচ্ছে ভালো খেলোয়াড় দিয়ে যথাসম্ভব বর্তমানে যারা (সিনিয়র) তাদের জায়গা পূরণ করা। সেটা করতে পারলেই উন্নতি। কিন্তু তা করা যায়নি। অর্থাৎ এত বছরেও উন্নতি দেখাতে পারিনি।
আশা করি, মুশফিকের অবসরে দল ভুগবে না। কারণ হলো, কয়েকজন বিকল্প ব্যাটার তৈরি হয়ে গেছে। এর পরও কথা থাকে, সিনিয়ররা সরে গেলে সোহানদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। সেক্ষেত্রে ওরা কেমন করে দেখার বিষয়। আশা করি, ভালোই খেলবে তারা। যে তিন-চারজন যোগ হয়েছে তাদের সামর্থ্য আছে। ওদের ভালো খেলতে দেখলে ভালো লাগবে।
বাংলাদেশ টি২০ দলের খেলোয়াড়রা জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পর একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। সবার মধ্যে উন্নতি করার একটা চেষ্টা দেখতে পাচ্ছি। অনেক প্র্যাকটিস করছে। বিশেষভাবে প্র্যাকটিস করছে। মুশফিকও চেষ্টা করেছে, কিন্তু ক্লিক করেনি। এর পরই সে বুঝতে পেরেছে অন্যদের সুযোগ করে দেওয়ার সময় এসে গেছে। আমার মনে হয়, এ থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমার মনে হয়, টি২০ থেকে সরে যাওয়ায় ওয়ানডে এবং টেস্ট ম্যাচের ব্যাটিংটা নিরবচ্ছিন্ন থাকবে মুশফিকের।
টি২০-এর কারণে বাকি দুই সংস্করণে ব্যাটারদের মনোযোগ নড়ে যায়। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল মুশফিক। গতকাল (শনিবার) রাত সোয়া ১১টার দিকে এসএমএস করলে আমি তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছি। ওর দিক থেকে ভালো সিদ্ধান্ত। অন্য দুই ফরম্যাটে মনোযোগ দিতে পারবে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত এক বছর লম্বা হতে পারে।