ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ভিএআর কারও আপন কারও পর

ভিএআর কারও আপন কারও পর

ছবি- সংগৃহীত

জহির উদ্দিন মিশু

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:৪২ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:৫০

একটা সময় ছিল, যখন ম্যাচ রেফারিকে সইতে হতো নানা যন্ত্রণা। ম্যাচে গোল হলো কি হলো না, আবার ফাউল একজন করলে গণহারে দেওয়া হতো কার্ড। রীতিমতো যাচ্ছে তাই অবস্থা! অবশ্য তখন রেফারিদেরও তেমন কিছু করার থাকত না। অস্বাভাবিক চাপ মাথায় নিয়ে একটা ম্যাচ পরিচালনা করতেন। এর মধ্যে পান থেকে চুন খসলে ম্যাচে এমনকি ম্যাচের পরও দু’দলের কথা শুনতে হতো।

আধুনিক ফুটবল রেফারিদের কাজকে দারুণ সহজ করে দিয়েছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া এই অঙ্গনে ভুল ধরতে এমনকি সিদ্ধান্তটা আরও নিখুঁত করতে এসেছে কতশত নিয়ম। আর সেসব নিয়মকে ঠিকভাবে পরিচালনার জন্য নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার তো আছেই। ভিএআর যার একটি। যন্ত্রের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের যৌথ প্রযোজনায় গোল, ফাউল কিংবা ম্যাচের বহু বিষয় স্পষ্টভাবে ধরিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

তবু এ নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। কেউ পক্ষে কেউ বিপক্ষে। অবশ্য ভিএআর যার বিপক্ষে যায়, সে-ই এটাকে আসামির কাঠগড়ায় তোলেন। যেমনটা হয়েছে শনিবার রাতে চেলসি-অ্যাস্টন ভিলা ম্যাচে। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি চেলসি খুব করে চেয়েছিল জিততে। বলও তিনবার প্রতিপক্ষ জাল স্পর্শ করে। কিন্তু তিনবারের একবার ভিএআর গোলের রায় দেয়নি বলে আর জেতা হয়নি। এ নিয়ে ম্যাচের পর বিতর্কের ঝড়।

অথচ পরিসংখ্যান বলছে, চলমান মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ভিএআরের বদৌলতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল পেয়েছে চেলসি। যদিও শনিবার রাতে তাদের একটা গোল বাতিল হওয়ায় ভিএআরের ভালো-মন্দের দুই পাল্লা কাছাকাছি। মানে সাতটি গোল তারা পেলেও তাদের ছয়টি গোল বাতিল হয়েছে এই ভিএআরের জন্য। এতদিন কিন্তু এ নিয়ে ব্লুজদের কারও টু-শব্দ নেই। যে-ই একটা গোল বাতিল হলো, তখন কোচ পচেত্তিনো রেফারির চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়লেন। এদিক থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি পুরোপুরি ভিন্ন পটে। এখনও তাদের কোনো গোল গিলতে পারেনি ভিএআর। উল্টো দুটি গোল তারা পেয়ে যায় এই ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কারণে।

চেলসির দুঃখটা গোল বাতিল বলেই নয়, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট খুইয়ে। কেননা তাদের লড়াইটা টেবিলের পাঁচে অন্তত থাকা। তখন যদি ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগটা পায়। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ চেলসিতে তারকা নেই যে তাও না। গত দুই দলবদলে ইচ্ছামতো টাকা উড়িয়েছে তারা। খেলোয়াড় কিনতে কখনও দু’বার ভাবেনি। যাঁকে যখন পছন্দ হয়েছে, কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচা করেই উড়িয়ে এনেছে স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে। তবু আলোর দেখা নেই। কোচ বদলেছে বহুবার, তবু পথহারা। এমন চেলসির পয়েন্ট যদি ভিএআর কেটে নেয়, তাহলে নিশ্চয়ই পচেত্তিনোর ভালো লাগার কথা নয়।

আরও পড়ুন

×