উয়েফার ভিলায় ‘বুড়ো লায়ন্সরা’

অ্যাস্টন ভিলার উদযাপন। ছবি: ফাইল
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪ | ১৫:৫৯
১৫০ বছরের পুরোনো ক্লাব। লিভারপুল-ম্যানইউর মতো অর্জন না থাকলেও ঐতিহ্য নেহাত কম নয়। প্রিমিয়ার লিগের বুড়ো লায়ন্সখ্যাত অ্যাস্টন ভিলায় যুগে যুগে বহু রথী-মহারথীর আগমন ঘটেছে। তবে সেই তুলনায় প্রাপ্তির খাতায় শূন্যতা অনেক।
দেড়শ বছরের পথচলায় প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে সাতবার। এর বাইরে সাতবার এফএ কাপ ও পাঁচবার লিগ কাপ। উল্লেখযোগ্য ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় সাফল্য একেবারে খারাপও বলা যাবে না। কিন্তু উয়েফার প্রতিযোগিতায় তারা এখনও সফলতা পায়নি। তবে যে দু’বার অংশ নেয়, দু’বারই অনেকটা পথ যায় তারা।
প্রথম অংশ নেয় ১৯৮১-৮২ মৌসুমে। সেইবার ফাইনাল খেলেছিল অ্যাস্টন ভিলা। পরের মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ক্লাবটি। এর পর আর উয়েফার ভিলায় প্রবেশ করতে পারেনি অ্যাস্টন ভিলা। দীর্ঘ ৪১ বছর পর আবার উয়েফার ভিলায় নাম লেখাল দলটি। এমন আনন্দে রাতভর উৎসবও করেছে তারা।
আগামী মৌসুমে অ্যাস্টন ভিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হয়তো চমকও দেখিয়ে দিতে পারে। এবার তাদের এমন সফলতায় বেশ কয়েকজন তারকার দারুণ অবদান। যেখানে গোল করে অ্যাস্টন ভিলাকে এগিয়ে নিয়ে যান অলি ওয়াটকিন্স। প্রিমিয়ার লিগের চলমান মৌসুমে তার গোলসংখ্যা ১৯টি। যা কিনা সবচেয়ে বেশি গোলকরা আরলিং হালান্ডের চেয়ে আট গোল কম।
এদিকে গোলপোস্ট আগলে রাখার কাজটা মন দিয়ে করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সব মিলিয়ে তিনি ক্লিনশিট রাখেন আট ম্যাচে। আর মোট বল সেভ করেন ৯৫ বার।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দলটির এমন ইতিহাস গড়ার পেছনের নায়ক কোচ উনাই এমেরি। আর্সেনাল, সেভিয়া, পিএসজির মতো ক্লাবের কোচিং সামলে ২০২২ সালে অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সময়ে এটাই অ্যাস্টন ভিলার সবচেয়ে বড় অর্জন। এখন যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একটা ঝলক দেখাতে পারে ক্লাবটি, তাহলে হয়তো এমেরিকে নিয়ে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে চাইবে ক্লাবের মালিকপক্ষ।