ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মৃত বাবাকে সোনার পদক উৎসর্গ দ্রুততম মানবীর

মৃত বাবাকে সোনার পদক উৎসর্গ দ্রুততম মানবীর

জুলিয়েন আলফ্রেড। ছবি- এএফপি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪ | ১৭:২০

প্যারিসের ট্র‍্যাকে গতির ঝড় তুলে মেয়েদের ১০০ মিটারের সোনার পদক জিতেছেন জুলিয়েন আলফ্রেড। সবাইকে পেছনে ফেলে জিতে নিলেন দ্রুততম মানবীর খেতাব। সেন্ট লুসিয়ার এই নারী স্প্রিন্টার নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়ও।

মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে মাত্র ১০ দশমিক ৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হয়েছেন জুলিয়েন। অলিম্পিকসে যে কোনো ইভেন্টে ইতিহাসে সেন্ট লুসিয়াকে প্রথম পদক এনে দেওয়া অ্যাথলেটও এখন তিনিই।

এই ইভেন্টের সেমিফাইনালে দৌড়াননি জ্যামাইকার হয়ে দুটি অলিম্পিক সোনাজয়ী শেলি–অ্যান ফ্রেজার–প্রাইস। শেষ সময়ে কারণ না জানিয়েই সরে দাঁড়ান তিনি। তাতে ফেভারিট ধরা হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শ্যা'কারি রিচার্ডসনকে। কিন্তু প্যারিসে চমক দেখালেন জুলিয়েন আলফ্রেড৷ শ্যা'কারি ১০.৮৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতেছে রুপা। ১০.৯২ সেকেন্ড নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তারই স্বদেশি মেলিসা জেফারসন।

প্যারিস অলিম্পিকের দ্রুততম মানবী হওয়ার পর হুঙ্কার ছেড়ে উদযাপন করেন জুলিয়েন আলফ্রেড। ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করার পর বুকের মধ্যে থাকা পরিচয় পত্রটা টান দিয়ে খুলে ফেললেন তিনি। এরপর আনন্দের কান্নায় ডুবে যান আলফ্রেড। যে কান্না থামতেই চাচ্ছিল না তার। আসলে এমন স্মরনীয় মুহূর্তে যে কারো কান্না থামতে চাইবে না।

সোনার পদক জিতে এটি আলফ্রেড নিজের মৃত বাবাকেই উৎসর্গ করেছেন, ‘এটা মূলত ঈশ্বর, আমার কোচ এবং সর্বশেষ আমার বাবার জন্য। যিনি বিশ্বাস করতেন, আমি পারব।’

আলফ্রেড এরপর যোগ করেন, ‘তিনি (বাবা) ২০১৩ সালে চলে গেছেন এবং তিনি আমাকে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মঞ্চে দেখতে পারবেন না। কিন্তু তিনি সব সময়ই তার মেয়ের অলিম্পিয়ান হওয়ার জন্য অহংকার বোধ করবেন।’

১০০ মিটার স্প্রিন্টে আলফ্রেড সোনা জয়ের পর বলেছেন,‘সব সময়ই বলে এসেছি, সেন্ট লুসিয়ার প্রথম অলিম্পিক পদকজয়ীদের একজন হতে চাই। এখন আমি অলিম্পিক গেমসে প্রথম স্বর্ণ জয়ী। ঘুম থেকে উঠে লিখে রাখছিলাম জুলিয়ান আলফ্রেড, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। তাই মনে করি নিজের উপর বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুন

×