ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ধবলধোলাই এড়াতে বাংলাদেশের পুঁজি ১৯৬

ধবলধোলাই এড়াতে বাংলাদেশের পুঁজি ১৯৬

ছবি- এএফপি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫ | ২০:৩৬ | আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ | ২২:৪৯

শেষ ওভারে লক্ষ্য ছিল ২০০ ছোঁয়ার। কিন্তু শেষ বল পর্যন্ত লড়েও থামতে হলো ১৯৬ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

শেষ ওভারে হাসান আলীর বলে আসে ১২ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হওয়ার পর ‘নো বল’ করেন হাসান, ফ্রি হিটে ছক্কা হাঁকান আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা তানজিম হাসান সাকিব। তবে ২০০ করতে হলে শেষ বলে দরকার ছিল ছক্কা, যা হয়নি। জাকের আলী নেন মাত্র ২ রান।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৭৫ রান, ২০১২ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে। সেই রেকর্ড ভেঙে এবার ১৯৬ রানে থামল লিটন-তামিমদের দল।

১ রান করে আউট মিরাজ

বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসেছেন হাসান আলী। প্রথম বলে তুলে মারতে গিয়ে হাসান নেওয়াজের হাতে ধরা পড়লেন মিরাজ। ৩ বলে করেন ১ রান।

একই ওভারে শামীম-হৃদয়ের বিদায়

এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন শামীম। আব্বাসের বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ৪ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি। এর এক বল পরেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে হৃদয় ক্যাচ দিয়েছেন সাইম আইয়ুবের হাতে। ফলে ১৭২ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস।

হাসানের শিকার হয়ে ফিরলেন লিটন

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস টানছিলেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুজনের ৪৯ রানের জুটি ভেঙেছেন হাসান আলী। ১৮ বলে ২২ রান করা লিটনকে তিনি বোল্ড করে আউট করেছেন। ফলে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

শতরানের জুটি গড়ে ফিরলেন তানজিদ-ইমন

তানজিদ ও পারভেজ ইমনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১তম ওভারেই ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেল বাংলাদেশ। তবে শতরানের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি এই জুটি। দলীয় ১১০ রানে ফাহিমের শর্ট বলে টাইমিংয়ে গড়বড়ে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তানজিদ। ৩২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। স্কোরকার্ডে ৩ রান যোগ হতেই তানজিদের পথ ধরেন ইমন। শাদাব খানের গুগলিতে ছক্কা মারার চেষ্টায় উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলা পারজেজ ইমন।

উদ্বোধনী জুটিতেই বাংলাদেশের ১০০

তানজিদ ও পারভেজ ইমনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১তম ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেল বাংলাদেশ।

২৭ বলে পারভেজের পঞ্চাশ

পাওয়ার প্লের পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইমন। মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। লেগ স্পিনার আবরার হোসেনের ওভারে ছক্কার পর এক বল বাদ দিয়ে টানা দুই চারে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন পারভেজ। ৮ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৮০। ২৭ বলে তিন ছক্কা ও চারটি চারে ৫২ রানে খেলছেন পারভেজ। ২১ বলে এক ছক্কা ও তিন চারে ২৫ রানে খেলছেন তানজিদ।

বিনা উইকেটে পঞ্চাশ পেরিয়ে বাংলাদেশ

দারুণ সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলেন ইমন। তৃতীয় ওভারে সাইম আইয়ুবের বিরুদ্ধে ঝড় তোলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ওই ওভারেই দুই ছক্কা ও এক চারে তুলে নেন ১৯ রান। চতুর্থ ওভারে হাসান আলীর বলে ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ, কিন্তু লং অফে ফাহিম আশরাফের হাত ফসকে জীবন পেয়ে যান তিনি। উল্টো ওই বলে বাউন্ডারি চলে যায়। পরের বলেই মিড অফ দিয়ে আরেকটি চার হাঁকান তানজিদ। ওপেনিং জুটিতে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ফলস্বরূপ মাত্র ৫.৩ ওভারেই বাংলাদেশ দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে।

খালেদের অভিষেক, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

আগের ম্যাচে চোটে পড়ে পেসার শরিফুল ইসলাম সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। তার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক হল আরেক পেসার খালেদ আহমেদের। বাংলাদেশ দলে এই একটিই পরিবর্তন। এই ম্যাচেও তিন পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানও একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে। হ্যারিস রউফের পরিবর্তে খেলছেন আব্বাস আফ্রিদি।

বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, খালেদ আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশায় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। বাচা-মরার এই ম্যাচে টস ভাগ্যে হেরেছে সফরকারীরা। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আঘা। ফলে আগে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেই তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের মতো দলের কাছেও হারের পর পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলে তা হবে লিটন দাসদের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।

এদিকে সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতলে প্রায় সাড়ে তিন বছরের অপেক্ষা ফুরোবে পাকিস্তানের। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সবশেষ হোয়াইটওয়াশ করেছিল তারা। এরপর ১১ সিরিজ খেলে একটিতেও সব ম্যাচ জিততে পারেনি পাকিস্তান।

আরও পড়ুন

×