ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ফাইনালে চট্টগ্রাম

ফাইনালে চট্টগ্রাম

খেলার একটি মুহূর্ত- বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ১০:৫৭

চার দিনের মধ্যে তিনটি ম্যাচ, দুই দিনে দুটি- টানা খেলার ক্লান্তি ছিল নিশ্চয়ই। ফাইনালে ওঠার শেষ সুযোগ- প্রত্যাশা পূরণের চাপও ছিল অবশ্যই। এর সঙ্গে যদি আগের দিন এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে অধিনায়কের দৃষ্টিকটু আচরণের অস্বস্তিকর ঘটনাও জড়ো হয়, তবে আর শরীরে-মননে কতটা আত্মবিশ্বাসী থাকা যায়?

সবকিছু মিলিয়ে যে চাপ তৈরি হলো বেক্সিমকো ঢাকার ওপর, সেটিই আর সামাল দিতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমরা। বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মঙ্গলবার মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে গেছেন তারা। ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে উঠে গেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। জেমন খুলনার বিপক্ষে চট্টগ্রামের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

আগের দিন এলিমিনেটর জিতলেও নাসুমের দিকে তেড়ে যাওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক। যে ঘটনার জেরে গতকাল সকালে ফেসবুকে বিবৃতি দিতে হয়েছে মুশফিক ও নাসুম দু'জনকেই। ব্যাট-বলের বাইরের ভাবনা ও ব্যস্ততায় মাঠের ক্রিকেটের জন্য মনোবলে ছন্দপতনই ঘটার কথা। যার ছাপ দেখা গেল ঢাকার ব্যাটিংয়ে।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা ঢাকা পুরো ১২০ বল ব্যাটিং করে ১২০ রানও তুলতে পারেনি। ম্যাচশেষে 'উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা কঠিন ছিল' বলার পরও মুশফিক জানিয়েছেন, অন্তত ১৪০ রান তোলার মতো পিচ ছিল এদিন। কিন্তু তার দল খেই হারায় পুরো ব্যাটিং লাইনআপেই। সর্বোচ্চ ৩১ রানের জুটি হয়েছে তৃতীয় উইকেটে নাঈম শেখ ও মুশফিকের মধ্যে। ওয়ান ডাউনে নামা নাঈম ১২ রান করতে খেলেছেন ১৭ বল, আর মুশফিকের ২৫ রান এসেছে ৩১ বলে। বলের চেয়ে রান বেশি করতে পেরেছেন কেবল ইয়াসির আলী ও আল-আমিন; দু'জনই পেরিয়েছেন ২০-এর ঘর। ইয়াসির ২১ বলে ২৪ আর আল-আমিন ১৮ বলে ২৫ রান করে মুস্তাফিজের শিকার হন। পরে নাসুমকেও আউট করেন 'দ্য ফিজ'।

শেষের দিকে রান তুলতে পারেননি আকবর আলী, রবিউল ইসলাম রবির মতো স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরাও। ইনিংসের শেষ বলে তাই ঢাকা থেমে যায় ১১৬ রানে। ব্যাট হাতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হওয়া ঢাকার খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়েও দেখা গেছে মনোবলহীন। শারীরিক ভঙ্গিমা আর মিস ফিল্ডিংয়ে ছিল ভেঙে পড়া দলের প্রতিচ্ছবি।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের রানতাড়ার পথও ছিল সহজ। উইকেট ধরে রাখলে শেষদিকেও রান তোলা যাবে- এ নিয়ে তাই তাড়াহুড়ায় যাননি লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। দু'জনই খেলছিলেন দেখেশুনে। সপ্তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪৪ রানের মাথায় জুটিটি ভাঙে সৌম্যের রানআউটে। ৫টি চারে ২৩ বলে ২৭ রান করে যান বাঁহাতি ওপেনার। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন এসেও ব্যাটিং করেন নির্ভার ভঙ্গিতে। দলের রান তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পর লিটন আর মিঠুন দু'জনই আউট হলেও জয়ে বেগ পেতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ৪৯ বলে ৪০ করেন লিটন, মিঠুন করেন ৩৫ বলে ৩৪। বল হাতে ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মুস্তাফিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বেক্সিমকো ঢাকা: ২০ ওভারে ১১৬/১০ (মুশফিক ২৫, আল-আমিন ২৫, ইয়াসির ২৪; মুস্তাফিজ ৩/৩২, শরীফুল ২/১৭)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ১৯.১ ওভারে ১১৭/৩ (লিটন ৪০, মিঠুন ৩৪, সৌম্য ২৭; আল-আমিন ১/৪)।
ফল: গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: মুস্তাফিজুর রহমান।

আরও পড়ুন

×