শেয়ারবাজার
টানা চতুর্থ দিন দর পতন

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫ | ২৩:৫৭
তথৈবচ অবস্থা শেয়ারবাজারে। দিনের শুরুতে অধিকাংশ শেয়ারের দর ও সূচকের বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও টানা চতুর্থ দিনে দর পতনে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় প্রায় আড়াইশ শেয়ারের দর বাড়ার বিপরীতে অর্ধশত শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হয়েছিল। তবে লেনদেন শেষে দেখা যায়, ১৪৫টির দর বাড়ার বিপরীতে ১৬৮টি দর হারিয়েছে। বিভিন্ন খাতের মধ্যে ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং বস্ত্র খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। অন্য সব খাতে ছিল মিশ্রধারা। তথ্য-প্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সেবা ও নির্মাণ খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে।
সার্বিক নিম্নধারার মধ্যেও বিবিএস কেবলস ও নাহী অ্যালুমিনাম দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে (সাড়ে ৯ থেকে ১০ শতাংশ বেশিতে) কেনাবেচা হয়। একটি ব্যবসায়ী গ্রুপভুক্ত বিবিএস নামক কোম্পানির শেয়ারের ৬ শতাংশ দর বেড়েছে। অবশ্য ক্রমাগত দর পতনের পর এ দর বেড়েছে। দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা শেয়ারগুলোর মধ্যে দুর্বল মৌলভিত্তির ফারইস্ট ফাইন্যান্স এবং ফরচুন সুজও ছিল।
এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়া কিছু ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানির রেকর্ড ডেট শেষে দর সংশোধন অব্যাহত আছে। গতকাল ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ওয়ান ব্যাংক, সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ৬ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
ক্রমাগত দর পতনের ধারায় লেনদেন ঘুরেফিরে তিনশ কোটি টাকার নিচেই অবস্থান করছে। গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে ২৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এ লেনদেন রোববারের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা বেশি। গতকালসহ সর্বশেষ ১১ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ দিনই এ বাজারে তিনশ কোটি টাকার কম মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হলো।
একক খাত হিসেবে ব্যাংক খাত পৌনে ৪৯ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে ছিল শীর্ষে, যা মোট লেনদেনের সোয়া ১৭ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পৌনে ৩৫ কোটি টাকা বা সোয়া ১২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। একক কোম্পানি হিসেবে স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ২১ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়েছে।
- বিষয় :
- শেয়ারবাজার