কুয়েট

কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হিসেবে আখ্যায়িত করে তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে শিক্ষক সমিতি। দ্রুত তাকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে ন্যায়বিচারের পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষক সমিতি। 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সংকট নিরসনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

চাপ দিয়ে উপাচার্যকে অপসারণ করা হলে তা মেনে নেবে না কুয়েট শিক্ষক সমিতি। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা না বলায় হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।

আমরণ অনশনে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র কল্যাণ পরিচালক।

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর মামলা প্রত্যাহারসহ দুই দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হল ছেড়েছেন কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী। অভিভাবকদের কথামতো বাড়ি চলে যাচ্ছেন তারা।

শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেছেন শিক্ষার্থীরা। 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য, উপ উপাচার্যকে অপসারণ এবং নতুন নিয়োগসহ ৬ দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য সকাল ৮টায় দুটি বাসে ৮০ শিক্ষার্থী ঢাকায় রওনা দিয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় ও চোখে লাল কাপড় বাঁধা ছিল।

কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪-৫ শ’ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আহত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও সন্ত্রাসীদের লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।