কুয়াশা

চৈত্র মাসে কাঠফাটা রোদই স্বাভাবিক। দিনের বেলায় হচ্ছেও তাই। কিন্তু রাত নামছে ভিন্ন আয়োজনে। যেন পৌষের শীত! সকালে তার রেশ থাকে কুয়াশা হয়ে।

কুয়াশার কারণে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

মাঘের শীতে আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে জয়পুরহাটের জনজীবন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে হাড়কাঁপানো শীত জেলার সর্বত্র জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতের প্রকোপ। মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। জীবিকার প্রয়োজনে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। 

আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে দিনাজপুর। শনিবার উত্তরের এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিম্নমুখী তাপমাত্রা ও ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল বাতাস শীতের প্রকোপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিন দিন পর সকালে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ ছিল কম। গত

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছিল ঘন কুয়াশা। সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা আরও কমেছে। গতকাল উত্তরবঙ্গে দুই জেলায় বয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শীতের তীব্রতায় উত্তরের জনপদে দুর্ভোগ বেড়েছে।

হিমেল বাতাস আর কুয়াশার মধ্যেও পেটের তাগিদে গতকাল বৃহস্পতিবার কাজে যেতে চেয়েছিলেন রংপুর নগরীর চব্বিশ হাজারি এলাকার দিনমজুর ঈমান আলী (৬০)। তবে কনকনে শীতে তিনি বাড়ি ছাড়তে পারেননি।

মৌলভীবাজারে দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রকৃতি। একই সঙ্গে বাতাস ও কনকনে শীতের কারণে মাঠে যেতে পারছেন না চাষিরা। দিনমজুররা ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

মাঘ মাসের ২য় সপ্তাহে চলতি মৌসুমি শীতের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম।

মাঘের প্রথমার্ধে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি রাজধানীতেও বেড়েছে শীতের প্রকোপ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কুশার চাদরে ঢাকা রাজধানী। এতে সকাল থেকেই শীতের মাত্রা আগের কয়েকদিনের তুলনায় বেশি অনুভূত হচ্ছে।

মাঘের তীব্র শীতে আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে জয়পুরহাটের জনজীবন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বাতাসের সঙ্গে হাড়কাঁপানো শীত জেলার সর্বত্র জেঁকে বসেছে।