খাদ্য নিরাপত্তা

খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিতে গিয়ে কৃষকের কথা তেমন ভাবা হয় না। শহুরে মানুষের খাদ্য জোগান ও দাম নাগালে রাখতে আমদানির মাধ্যমে কৃষকের ক্ষতি করার চেষ্টা হয়।

দেশে দারিদ্র্যের হার এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আগের চেয়ে বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) পরিচালিত এক ধারণা জরিপ বা পারসেপশন সার্ভেতে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

রাজধানীর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আমাদের চিত্রে বোঝা যায় কৃষকের উৎপাদনে সমস্যা নয়, সরকারের বণ্টন নীতিতেই সমস্যা। তাই আমরা মনে করি, দরিদ্রের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষকের মূল্য সহায়তা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ– তিনটিই সম্ভব সর্বজনীন রেশন চালুর মাধ্যমে। তাই দ্রব্যমূল্যের যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে, তাও মোকাবিলা করা সম্ভব এই সর্বজনীন রেশন প্রক্রিয়াতেই। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে কয়টি সেক্টর কাজ করছে তার মধ্যে কৃষি সেক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি। খাদ্য সরবরাহ, আমিষের ঘাটতি পূরণ ও পুষ্টি চাহিদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কৃষক ও কৃষি সম্পদ। আমাদের কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এ খাতে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকার কারণে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। এমতাবস্থায় কৃষি খাতে সরকারের আরও উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতার হাত বাড়ানো জরুরি।

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে এক সেমিনারে ভোক্তাদের সুরক্ষায় একটি কঠোর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুপারিশ এসেছে। এতে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে একটি একীভূত নিয়ন্ত্রক কাঠামোর প্রয়োজনীতা রয়েছে।

আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক খসড়া তৈরি করছি যেখানে ‘রাষ্ট্র খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারে’ -এমন ধারার পরিবর্তে, ‘রাষ্ট্র খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবে’, ব্যবহার করা হবে।

খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখ যোদ্ধা হলেন এদেশের কৃষক সমাজ। কৃষকেরা উৎপাদন বাড়াতে পারেন, সেজন্য তাদের যথাযথ প্রণোদনার ব্যবস্থা দেওয়া, তারা যাতে উন্নত ও যথাযথ প্রযুক্তি, স্বল্পমূল্যে কৃষি উপকরণ পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

খাদ্য মজুদ বাড়ানো বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বোরো মৌসুমে হবিগঞ্জে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও অর্জন হয়নি। নির্দেশনা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরুর তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আর মাত্র এক মাস সময় বাকি আছে।