ডেঙ্গু আক্রান্ত

ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য তিন ধরনের পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৫৯ জন। সবচেয়ে বেশি ১০৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৭৭। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৮০ জনই বরিশাল বিভাগের; মোট রোগীর হিসাবে এখানে আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ঢাকার বাইরে চার পৌর এলাকায় এডিস মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সম্প্রতি পাঁচটি পৌরসভা এলাকায় জরিপ করে চারটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পেয়েছে। এই চার পৌরসভা হলো– ঝিনাইদহ, মাগুরা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী। এসব এলাকাকে ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্টরা।

বরিশালে বিভাগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন মারা গেছেন। এ সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২৪ জন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাতজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এতে চলতি জানুয়ারির ৩১ দিনে মশাবাহী রোগটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ জনেই স্থির রয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে ডেঙ্গুতে ৮১ জনের প্রাণ গেল। আর এ বছর এডিস মশাবাহিত জ্বরটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬৯ জনে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ৫৫৬ জনের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গু। গত এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭৪ জন। এতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৯ হাজার ৫৬৯ জনে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া চারজনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৫৪৫ জনের মৃত্যু হলো।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ গিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৫১৭ জনের মৃত্যু হলো।