তাপমাত্রা

আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রাজধানী ঢাকায় রোববার তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপমাত্রা আজও বাড়তি থাকতে পারে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২০২৯ সাল পর্যন্ত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) বার্ষিক জলবায়ু প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানী ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানী ও আশপাশের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এর ফলে গরমের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৈশ্বিক উষ্ণতার বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখতে পারলেও ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কয়েক মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। আজ রোববার বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩১ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার ৪০ ডিগ্রি এবং শনিবার সর্বোচ্চ ৪০.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।

চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় ছিল। কিন্তু গত বুধবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। গতকাল শুক্রবার দেশের ৪৫ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এটি বিস্তৃত হয়ে আজ শনিবার সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহ নগরীর জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকাগুলো জনশূন্য হয়ে গেছে। খুব বেশি দরকার না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউই।

চুয়াডাঙ্গায় বিরামহীন দাবদাহে জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র দাবদাহ। রোদ্রের তীব্রতায় গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ। আজ শুক্রবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ।