রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আরাকানকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা মতে, আগামী ঈদের আগেই যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ‘যোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।

মিয়ানমারে টেকসই স্থায়ী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র দেখতে আগ্রহী বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশটিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে বাংলাদেশ সেখানে অনুকূল পরিবেশ দেখতে চায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‌‘নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর।’ নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় সর্বাত্মক সংস্কার করতে হবে। নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশিত হয়।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ।

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া ৭ মাস বিরতির পর আবারোও শুরু হয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকটে জর্জরিত বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে নানা চেষ্টা করেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে তাদের দেশে এখনও ফেরত পাঠাতে পারেনি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর মধ্যে চলমান যুদ্ধ অবস্থা নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।

‘নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রায় সাত বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান’- জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬ তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর অনুষ্ঠিত একটি সংলাপে এ কথা বলেন জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক।

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। বুধবার সেখানে যান তিনি।

রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ আর উদারতা দেখাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আগমনে উদারতা দেখাবে না বাংলাদেশ। এমনিতেই এত বোঝা। আর নিতে পারব না।