সাগর-রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা ১১৮ বারের মতো পেছাল। ৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

দাম্পত্য কলহ, চুরি কিংবা পেশাগত কারণে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি খুন হননি। এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন দু’জন। প্রথমে সাগর, পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ক্ষত নিয়েও তারা অনেকক্ষণ জীবিত ছিলেন। তবে ডিএনএ অস্পষ্টতার কারণে মূল হত্যাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত টাস্কফোর্সের অগ্রগতি তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলা তদন্তে আরও ৬ মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৭ বার পিছিয়ে আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম সময় বাড়ানোর আদেশ দেন।

প্রতীক্ষায় স্বজন-সহকর্মীর কেটে গেছে ১৩ বছর। এই লম্বা সময়েও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যায়নি।

‘সাগর-রুনি হিউম্যান রাইটস ফটো অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ১০ আলোকচিত্রী। শনিবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় সাগর-রুনি ফাউন্ডেশন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ফের বাড়ল। আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। এই নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১১৬ বার বাড়ানো হলো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্য নিয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স। 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।