রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তির পর যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২২ | ১০:৩৪ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২ | ১০:৩৪
নাটোরে একটি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির দুই ঘণ্টা পর মাদকাসক্ত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার রাতে শহরের হরিশপুর এলাকায় নাটোর রিহ্যাব সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ আহমেদ শহরের বলারিপাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তির পর চিকিৎসার নামে নির্যাতনের কারণে সবুজের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনের অভিযোগ। তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সদর থানার ওসি মনছুর রহমান জানান, সবুজ নিয়মিত মাদক সেবন করত। রোববার রাতে সে মাদক সেবন করে বাসায় ফিরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতে থাকে। তারা বিরক্ত হয়ে রাত ৯টার দিকে তাকে নাটোর রিহ্যাব সেন্টারে নেন। সেখানে ভর্তির পর সবুজ বমি করতে থাকে এবং কর্মরতদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত বা বিষাক্ত মাদকদ্রব্য সেবনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে রিহ্যাব কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসা অথবা নির্যাতনের কারণও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিহ্যাব সেন্টারের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন ও কর্মরত কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন। তারা দাবি করেন, অতিরিক্ত মাদক সেবনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সবুজকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব আলী সম্রাট জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
এদিকে সবুজের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের ভাই সজিব ও লিটন।