কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এসেছে বিপুল পরিমাণ মরা মাছ

সৈকতে ভেসে এসেছে বিপুল পরিমাণ মরা মাছ, ছবি: সমকাল
কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২২ | ০৩:৩৬ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ | ০৩:৩৮
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ মরা মাছ ভেসে এসেছে। শনিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ঢেউয়ের সঙ্গে ছোট আকারের মাছ ভেসে আসতে দেখা যায়। তবে রোববার সকাল থেকে ওই স্থানে আর কোনো মাছ ভেসে আসতে দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া কোনো নৌকা থেকে জাল ছিঁড়ে এই মাছ ভেসে থাকতে পারে। সেগুলো জোয়ারের পানিতে উপকূলে ভেসে এসেছে। তবে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাগরে দূষণের কারণে মাছ মরে যাচ্ছে। কোনো স্থানে জাহাজ থেকে ফেলে দেওয়া বর্জ্যের কারণে এই দূষণ হতে পারে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এমএ মঞ্জুর জানিয়েছেন, সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে কলাতলী দরিয়ানগর পর্যন্ত বিস্তৃত সৈকতজুড়ে শুধু মাছ আর মাছ। ভেসে আসা মাছগুলোর মধ্যে বড় কোনো মাছ নেই। সবই ছোট আকারের ও একই প্রজাতির মাছ।
তিনি জানান, শনিবার বিকেল থেকে আকস্মিকভাবে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে মরা মাছ ভেসে আসতে থাকে। মাছ ভেসে আসার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে প্রচার হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ড. শফিক রহমান বলেন, সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে মাছ ভেসে আসার খবর পেয়ে একটি টিম সেখানে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মরা মাছ এবং পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সমুদ্রের পানিতে দূষণের মাত্রা পাওয়া যায়নি। কোনো ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে অথবা অন্য কোনো স্থানে ফেলে দেওয়া বর্জ্যের কারণে মাছগুলোর মৃত্যু হয়েছে কি-না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
শফিক রহমান বলেন, ওই স্থানের জেলেরা দাবি করছেন, ঘের জালে বেশি মাছ আটকা পড়ার কারণে হয়ত কোনো জেলে দলের জাল ছিঁড়ে মাছের মৃত্যু হয়েছে। সেই মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। তিনি জানান, জেলেদের এই তথ্যও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, সৈকতে কলাতলী পয়েন্টে কয়েক টন মাছ ভেসে আসার ঘটনা ঘটেছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা মাছ স্থানীয়রা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। রোববার সকাল থেকে ওই স্থানে আর কোনো মাছ ভেসে আসার ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এদিকে গভীর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের কারণে সামুদ্রিক কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কি-না, তা নিয়েও স্থানীয় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
২০২০ সালে একইস্থানে ভেসে এসেছিল বেশ কয়েক টন বর্জ্য। মৃত দুটি তিমিও ভেসে এসেছিল একইস্থানে।