ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

নৌ দুর্ঘটনায় ১৮ প্রাণ হারানোর ৫ বছর

ক্ষতিপূরণের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন

ক্ষতিপূরণের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২২ | ০৩:২০ | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ | ০৩:২০

উম্মুক্ত নিরাপদ নৌ-রুট ও ২০১৭ সালে লাল বোট দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ টি পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সন্দ্বীপবাসী। শনিবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে শুরু হওয়া এই মানববন্ধন শেষ হয় ১২ টায়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে সন্দ্বীপ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন চবি, সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটি,আলোকিত সংঘ, সন্দ্বীপ স্টুডেন্ট এ্যাপিনিটি আইআইইসি,ইয়ুথ ক্লাব চিটাগং সন্দ্বীপ। সকাল ৯ টা থেকে  ব্যানার,পোস্টার, প্লেকার্ড হাতে নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয় এসব সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

প্রকৌশলী শামছুল আরেফিন শাকিলের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে  বক্তারা বলেন, লালবোট দুর্ঘটনার পাঁচ বছর হয়ে গেলেও নিহতদের পরিবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ পায়নি। আমরা এ দুই সংস্থাকে অবিলম্বে নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাই। এছাড়া জেলা পরিষদের ইজারাদারের বর্ধিত ভাড়ার নামে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ঘাট উন্মুক্ত করা, ২৪ ঘন্টা রোগী পারাপারসহ যাত্রী আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করা, সি-ট্রাক দেয়াসহ নিরাপদ নৌ যাতায়াত নিশ্চিতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

মানববন্ধনে সমন্বয়ক খাদেমুল ইসলাম বলেন, সন্দ্বীপ নৌরুটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া স্পীড বোট চলছে। এই জন্য ঘাট ইজারাদার নিজের খেয়াল খুশিমত ভাড়া বাড়াচ্ছে। অবৈধ নৌযান হওয়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাড়া বাড়ার ব্যাপারে দায় নিচ্ছে না। এখন প্রত্যেক নৌযানের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে। ভাড়া বাড়ানোর নামে ইজারাদারের চাঁদাবাজির হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে। বৈধ উম্মুক্ত নিরাপদ নৌ-যাতায়াতের দাবি মেনে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে স্টীমার থেকে নেমে লাল বোটে করে যাত্রীরা তীরে যাওয়ার সময় তা ডুবে যায়। এতে নারী শিশুসহ ১৮ জন প্রাণ হারান। ৫ বছর হলেও নিহতদের পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি দায়িত্বশীল কোন পক্ষ। হাইকোর্ট এক রিটের আদেশে ১৮ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিসিকে। কিন্তু এটির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আপিল করছে। তাই ঝুলে আছে রায় মানার বিষয়টিও।

আরও পড়ুন

×