চট্টগ্রাম চেম্বারে মতবিনিময়ে বক্তারা
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়াবে

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২ | ১০:২২ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২২ | ১০:২২
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আইসিটির (তথ্যপ্রযুক্তি) ব্যবহার এসব কর্মকাণ্ডে গতি বাড়াবে এবং ব্যয় কমানোর মাধ্যমে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াবে। নারী উদ্যোক্তারা বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক নারী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। তাই তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানে প্রাধান্য দিতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কনফারেন্স হলে রোববার দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম চেম্বারের সহযোগিতায় ডেভেলপমেন্ট টেকনিক্যাল কালসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড (ডিটিসিএল) এ আয়োজন করে।
সভায় ডিটিসিএলের টিম লিডার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ডিটিসিএলের নির্বাহী পরিচালক এম হাবিবুর রহমান, চেম্বার সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক ও বাংলাদেশ সেন্টার অব এপিলেন্সের প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম বক্তব্য দেন। নারী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
মনোজ কুমার রায় বলেন, নারী উদ্যোক্তারা কীভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন- সেই ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই মতবিনিময়ের আয়োজন। তিনি সংশ্নিষ্ট নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবগত হয়ে তা উত্তরণে আইনগতসহ সব ধরনের নীতিমালা প্রণয়নে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানান।
অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অর্থনীতির মূল ধারায় এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণ আরও বেশি বৃদ্ধি করা আবশ্যক। এই প্রেক্ষাপটে আইসিটি সাব-সেক্টর হতে পারে একটি আদর্শ মাধ্যম। নারী উদ্যোক্তাদের যথাযথ সহযোগিতা করা সম্ভব হলে রপ্তানি খাতে যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, তা আমাদের অর্থনীতিতে নতুন দিনের সূচনা করতে পারে।
এম হাবিবুর রহমান বলেন, আইসিটি ব্যবহারে সহজে ও দ্রুত গতিতে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। ফলে মানুষ এক জায়গায় বসবাস করে অন্য জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছে।
সভায় বক্তারা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য মানসম্পন্ন আইসিটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, বিদেশে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে অর্জিত আয় নিরাপদে দেশে আনা, ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোকে যুগোপযোগী করা, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ, প্রশিক্ষিত জনবলের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে সরকারি তদারকি বৃদ্ধিসহ নানা প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেন।