মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই সুমির

মো. ইমাম হাছান কচি, দাগনভূঞা
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২২ | ০৩:১৩ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২২ | ০৩:২০
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই সুমির। ভর্তি কীভাবে হবে, আর পড়ালেখার খরচই বা চলবে কীভাবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মলিন সুমির মুখ। কারণ সুমির বাবা পরিমল চন্দ্র রায় একজন ক্ষুদ্র পান বিক্রেতা। তার স্বল্প আয়ে যেখানে দুইবেলা ঠিকমতো খাবারই জোটে না, সেখানে পড়ার খরচ বহন করা তার পক্ষে দুরূহ বিষয়।
সুমি বলেন, 'আমার বাবা একজন ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ী। অনেক কষ্টে আমাদের সংসার চলে। এত কষ্টের মধ্যেও আমার বাবা আমাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার ইচ্ছা ছিল আমি ডাক্তার হব। সে ইচ্ছানুযায়ী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আমি কৃতকার্য হই। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে আমার ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে আমার পরিবার। ভর্তির এত টাকা ও ভর্তির পর আমার পড়াশোনার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য বাবার নেই। আমার মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিত দেখা দিয়েছে।'
সুমি রায় ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির পরিমল চন্দ্র ও শিখা রাণী রায়ের বড় সন্তান। তারা এক বোন ও এক ভাই। তার ছোট ভাই কর্ণজিৎ রায় সিলোনীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই সুমি লেখাপড়ায় খুব ভালো। তিনি জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পান।
পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সহযোগিতায় সুমি তার লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। তার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের কারণে উৎসবের আমেজ বইছে হীরাপুর গ্রামে।
- বিষয় :
- সুমি
- মেডিকেল
- দুশ্চিন্তা
- পান বিক্রেতা
- ফেনী