মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট
১৫ ঘণ্টায় পদ্মা পার হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২২ | ২০:২৯ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২২ | ২১:৩৮
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে পরিবার ও আপনজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ছুটছে মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে চলাচলরত লঞ্চ ও স্পিডবোটে চড়ে ১৫ ঘণ্টায় পদ্মা পার হয়ে নাড়ির টানে বাড়িতে ছুঁটে গেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ঘরমুখো মানুষ।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সময়ে এসব যাত্রী পদ্মা পার হয়েছে বলে জানিয়েছে শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ফেরিতে পদ্মা পার হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি ঘরমুখো মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ফেরিতে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ পারাপার হয়েছেন। সূত্র আরও জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ধূলি ঝড় শুরু হয়। ফলে রাত ১০টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো চলাচাল করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ।
শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌ-রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৩৫৮টি ট্রিপ দিয়েছে। আর এতে যাত্রী হিসেবে লঞ্চ ও স্পিডবোটে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ঈদযাত্রী পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ সমকালকে জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তিনি জানান, ঘাট এলাকায় নদী পারাপারের অপেক্ষায় তেমন যানবাহন নেই। তবে যাত্রীদের চাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নৌরুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি নৌরুট পদ্মা পাড়ি দিতে ব্যক্তিগত যানবাহনের সঙ্গে মটরসাইকেলের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।