ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বড়পুকুরিয়া: আন্দোলনের মুখে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

বড়পুকুরিয়া: আন্দোলনের মুখে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

ফাইল ছবি

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:২৬ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:২৬

পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়ায় আন্দোলনের মুখে বন্ধ হয়ে গেছে কয়লা উত্তোলন। প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার সুযোগ, কর্মহীনদের কাজে যোগদান ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শনিবার সকালে খনি এলাকার ভেতর ও বাইরে যৌথ আন্দোলন করেন শ্রমিকরা।

দাবি না মানলে খনি গেটেই ঈদ জামাত করার ঘোষণা দিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, শ্রমিক নেতা ওয়াজেদ আলী, হযরত আলী, এরশাদ আলী, খনি শ্রমিকের স্ত্রী রোজি বেগমসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খনিতে কর্মরত শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের বাইরে বের হতে দেওয়া হয় না। এমনকি বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা মারা গেলেও বের হতে দেওয়া হয় না। সেই সঙ্গে কর্মহীন শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলন করছেন।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান ও জেনারেল ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করে আন্দোলনরত শ্রমিকদের পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ। এরপরও শ্রমিকদের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে। শ্রমিকদের কাজে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উৎপাদনশীল ১৩১০ নম্বর কোলফেইজের মজুতও সপ্তাহখানেকের মধ্যেই শেষ হবে। এ অবস্থায় কয়লা উত্তোলন এমনিতেই বন্ধ হয়ে যেত। এখন নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। এজন্য কয়লা উত্তোলনে যেতে অন্তত সাড়ে তিন মাস সময় লাগবে। কয়লা উৎপাদন শুরু হলেই পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিকের কাজে যোগদান করাবে এপএমসি-সিএমসি।

খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এপএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কর্মরত এক হাজার ১৪৭ জন শ্রমিক ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন চলায় বেকার হয়ে পড়েন। যোগদান ও বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে খনি শ্রমিক ও আউটসোর্স কর্মচারীরা আন্দোলনে যান। পরে এপএমসি-সিএমসি পর্যায়ক্রমে ২০২০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সাড়ে ৪০০ শ্রমিক-কর্মচারীকে কাজে যোগদান করায়। অবশিষ্টরা এখনও বেকার।

আরও পড়ুন

×