সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ পাচ্ছে শরীয়তপুরের ২০ হাজার পরিবার

সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ০৪:২০ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ০৪:২৭
সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাচ্ছে শরীয়তপুরের নওপাড়া, চরআত্রা ও কাঁচিকাটা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার।
শনিবার এ বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করবেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম।
২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদনের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
ইউনিয়নবাসী জানায়, তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত চরগুলোতে ৭০ বছর আগে থেকে বসবাস শুরু করেছে মানুষ। চরের মানুষ হারিকেন ও প্রদীপের আলো ছাড়া কখনো বিদ্যুতের আলো পায়নি। কিন্তু এবার পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সেই চরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ আজগর সোহেল মুন্সী বলেন, আমাদের ইউনিয়নটি দুর্গম চর। পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে এখানে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে তা কখনো ভাবিনি। এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে এমন খবরে আমরা আনন্দিত।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক জুলফিকার রহমান জানান, পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে শরীয়তপুরের তিনটি চরে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। ওই চরে একটি সাবস্টেশনও নির্মাণ করা হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক এএইচএম মোবারক উল্লাহ বলেন, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ছিপাইপাড়া থেকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নওপাড়ার দূরত্ব প্রায় ২৪ কিলোমিটার। আর নওপাড়া ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে তিনটি ইউনিয়নে (৩৩কেবি) বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে, যা ২০ হাজার পরিবার ভোগ করতে পারবেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা তার ঘোষণা বাস্তবায়ন করছি। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রুত সময়ের মধ্যে চরবাসীদের বিদ্যুৎ দেয়া হবে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরও বলেন, মুজিব বর্ষের বিশেষ উপহার হিসেবে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দুর্গম চরের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন।