তুমব্রু সীমান্তে নেই গোলার শব্দ, কাটেনি আতঙ্ক

ফাইল ছবি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৩:২০
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে দীর্ঘদিন চলমান মর্টার শেল-গোলাগুলি আগের তুলনায় কমেছে। তবে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। গতকাল রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। কিন্তু শনিবার রাতে কয়েকটি গোলার শব্দ শোনার কথা স্বীকার করেন সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে, তুমব্রু সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানের পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে বিজিবি।
গোলাগুলির শব্দ কমেছে উল্লেখ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান মংলাওয়াই মারমা জানান, আজকে (রোববার) বিকেল পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। ফলে সেখানকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি এলেও এখনও আতঙ্ক কাটেনি। তবে আগের দিন শনিবার রাতে বাইশ ফাঁড়ি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে গোলাগুলি না হওয়ায় সীমান্তের চাষিদের অনেকে চাষাবাদে ফিরেছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তুমব্রু ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী এলাকায় চার হাজার রোহিঙ্গাসহ প্রায় ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা রয়েছেন। তার মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি স্থানীয় লোকজন চাষাবাদে নিয়োজিত। দেড় মাস ধরে তুমব্রু সীমান্তে চলমান পরিস্থিতিতে বিপদে রয়েছেন এসব চাষি।
তুমব্রু ভাজাবনিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈয়দুর রহমান হিরা জানান, আজকের দিনটি অন্য রকম ছিল। কারণ, কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। ফলে স্কুলপড়ূয়াদের মধ্যে ভয় একটু কমেছে। কিন্তু কখন যে আবার গোলাগুলি শুরু হয়, সেটা বোঝা মুশকিল।
তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা চাষি লুৎফর জামান জানান, সকাল থেকে ধানক্ষেতে কাজ করেছি। তবে সব সময় আতঙ্কে ছিলাম, কখন না গুলি এসে পড়ে। আমার মতো অনেকে কাজে ফিরেছেন। আমরা দিনে এনে দিনে খাই, যার ফলে গুলির ভেতরেও কাজ করতে হয়।
সীমান্তের শূন্যরেখায় বসবাসকারী মিয়ানমারের অংশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা বৃদ্ধ আবদুল মালেক জানান, আজকে গোলাগুলির কোনো শব্দ না পাওয়ায় লোকজনের মধ্যে কিছুটা ভয় কমলেও আতঙ্ক কাটেনি।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, এখানকার মানুষ গোলাগুলির শব্দ শুনে অনেকটা অভ্যস্ত। তবুও সীমান্তের মানুষকে সতর্ক অবস্থানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
- বিষয় :
- তুমব্রু সীমান্ত
- নাইক্ষ্যংছড়ি
- রোহিঙ্গা