ঋণ পরিশোধে এনজিওর চাপ, গৃহবধূর আত্মহত্যা

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৫:৩০ | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৫:৩২
নীলফামারীতে এনজিওর ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে শাবানা বেগম (৩৭) নামে এক গৃহবধূ 'আত্মহত্যা' করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই গৃহবধূ সৈয়দপুর পুরাতন বাবুপাড়া রেলওয়ে অফিসার্স কলোনি এলাকার জাবেদ আলীর স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা রিনা আনোয়ার ও মোহাম্মদ শামসার ভাষ্যমতে, এনজিও কর্মীরা ঋণ আদায়ের জন্য প্রায় শাবানার ঘরে আসত। ঋণ পরিশোধের জন্য তাঁরা তাকে চাপ দিত। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগে থাকত।কয়েকদিন আগে ঋণের টাকা আদায় করতে এনজিও কর্মীরা তাঁর বাড়ি আসে। এ সময় তাঁরা শাবানাকে অপমান করে। এনজিও কর্মীদের চাপ সইতে না পেরেই গাছে দঁড়ি দেয় সে। এরপর তাকে কয়েকজন প্রতিবেশি ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, স্বামীর ব্যবসার জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন শাবানা। স্বামী অসুস্থ হওয়ায় ঋণের টাকা তাঁর চিকিৎসা ব্যয় হয়ে যায়। পরে স্বজন ও প্রতিবেশিদের কাছে ধার নিয়ে প্রতিসপ্তাহে কিস্তির পরিশোধ করতেন তিনি। এভাবে অনেকের কাছে দেনা হয়ে যায়।
গত মাসে দুটি কিস্তি না দেওয়ায় এনজিওর মাঠকর্মীসহ কর্মকতারা শাবানা ও তাঁর স্বামীকে অপমান ও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মানষিকভাবে ভেঙে পড়েন শাবানা।
শাবানার স্বামী জাবেদ আলী অভিযোগ করেন, ঋণের টাকা পরিশোধে চাপ দিতো এনজিও। এ কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। এখন তিন সন্তান নিয়ে দিশেহারা তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী আদিবুল আলম দাবি করেন, শাবানা বেগমকে কিস্তি পরিশোধ করতে চাপ দিলেও অপমানমূলক কথা বলেনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ফরহাদ কবীর বলেন, ঘটনাটি জেনেছেন তিনি। ঋণের কিস্তি আদায় করতে অপমান করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল হক বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বজনরা কেউ অভিযোগ দিলে এনজিও'র বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।