শহীদ মেজবাউদ্দিন নওফেলের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন

ছবি- সমকাল।
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:১৯ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:১৯
ফরিদপুরে শহীদ নওফেলের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ চত্বরে ‘নওফেল মৃত্যুহীন প্রাণ’ নামের এ প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন নাদীম ইকবাল। বিএনসিসির সহযোগিতায় ৪৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা মেজবাউদ্দিন নওফেল। তিনি তৎকালীন ইউওটিসির (বর্তমান বিএনসিসি) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এতে তার পদ ছিল ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল। ১৯৭১ সালে মেজবাউদ্দিন নওফেল সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র ছিলেন।
১৯৭১ সালে ফরিদপুরের করিমপুর যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। ওই যুদ্ধে ওই মুক্তি বাহিনীর সদস্য সালাউদ্দিন আহত হন। মেজবাউদ্দিন নওফেল আহত সালাউদ্দিনকে কাঁধে নিয়ে অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই সময় পাকবাহিনী গুলি করে নওফেলসহ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে এবং যে বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নিয়েছিল সেই বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়।
এ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের আগে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মেজবাউদ্দিন নওফেলের দুই সহযোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আমির মজুমদার ওরফে গামা ও শামসুদ্দীন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ।
বক্তারা মেজবাউদ্দিন নওফেলের স্মৃতি রক্ষা করতে একটি ছাত্রাবাসের নাম মেজবাউদ্দিনের নামে নামাঙ্কিত করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি জাগ্রত রাখতে পারে এবং তাদের আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মকে সার্থক করে তুলতে পারে।