মাতাল হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুসল্লিদের ওপর হামলা করলেন ইউপি সদস্য

ইউপি সদস্য রবিন চৌধুরী- সমকাল
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ১০:১২ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ১০:১৭
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে একটি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে গালাগাল করছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হলে তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চালান হামলা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দুই মাদকসেবী। তাঁরাও মাতাল হয়ে মেম্বারের সঙ্গে হামলায় অংশ নেন। এতে তিন মুসল্লি আহত হন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার এবং হামলাকারীদের আটকে রাখেন। সন্ধ্যার পর তাঁদের ছাড়িয়ে নেন অপর মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতারা।
শুক্রবার উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ এলাকায় ইমাম হোসাইন জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার ভোরে উপজেলার ভাটিয়ারীতে মাদক সেবন করতে যান পার্শ্ববর্তী সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিন চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একই এলাকার হোসেনের ছেলে নুরুদ্দিন ও আলী আশরাফের ছেলে নেজাম উদ্দিন। তাঁরা দা নিয়ে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালালে কামাল উদ্দিন, মুসলিম উদ্দিন ও আরাফাতুর রহমান আহত হন।
আহত আরাফাত বলেন, রবিন মেম্বার ও তাঁর সহযোগীরা মদ খেয়ে মসজিদের পাশে মাতলামি ও অশ্নীল ভাষায় গালাগাল করছিলেন। নামাজ শেষে আমরা বের হলে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা চালান। মেম্বার ও তাঁর সহযোগীরা আগেও একবার আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
ভাটিয়ারীর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) মাদকসেবী। আবার মদপানের পর মাতলামি করে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁকে সোনাইছড়ির প্যানেল চেয়ারম্যানের (মেম্বার) জিম্মায় আপাতত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোনাইছড়ির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকায় থাকায় ২৮ ডিসেম্বর তাঁর উপস্থিতিতে বৈঠকে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য রবিন বলেন, 'ওই মসজিদের পাশেই আমার শ্বশুরবাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। মদ খেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে বেশি খেয়ে ফেলায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তাই এ ঘটনা ঘটে।'
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহাম্মদ বলেন, মুসল্লিদের ওপর হামলার খবর পেয়েছি। কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, একজন মেম্বার হয়ে কীভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটান। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলাসহ ইউপি সদস্য পদ বাতিল হবে।