এসআই স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পুলিশ পরিদর্শক স্বামীর বিরুদ্ধে

যশোরে যৌতুকের দাবিতে পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় স্ত্রী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাজাদী আক্তারকে (৪০) যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার রাতে যশোর শহরের খড়কি এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাজাদী আক্তার যশোর সদর কোর্ট জিআরওতে এবং স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান ঝিনাইদহ পিবিআইয়ে কর্মরত। 

এসআই শাহাজাদী আক্তার অভিযোগ করেন, কামরুজ্জামানের সাথে ২০০০ সালে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী কামরুজ্জামান মাঝেমধ্যেই তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। এ কারণে তিনি যৌতুক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। ছুটিতে বাড়ি এসে কামরুজ্জামান ওই মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। এছাড়া কামরুজ্জামান তিন বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করায় শাহজাদীর ওপর নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দেন বলেও এসআই শাহজাদী অভিযোগ করেন।

শাহজাহী আক্তারের দাবি , যৌতুকের মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় শুক্রবার রাতে কামরুজ্জামান ছুরি দিয়ে তাকে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। ঠেকাতে গেলে তার মাথায়, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং মেঝেতে ফেলে ব্যাপক নির্যাতন চালান স্বামী। এক পর্যায়ে ছেলেরা তাকে রক্ষা করেন। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা শাহজাদীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, এসআই শাহাজাদীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তবে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, যে সময় এই ঘটনা দাবি করা হচ্ছে, তখন তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। স্ত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় প্রতিশোধ নিতে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

যৌতুকের মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামা জানান, এ ধরনের কোনো মামলার খবর তার জানা ছিল না। তবে এই ঘটনার পর তিনি মামলার বিষয়টি জানতে পেরেছেন। দ্বিতীয় বিয়ে করেননি বলেও তিনি দাবি করেন।

এদিকে, যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, এসআই শাহাজাদীকে নির্যাতনের বিষয়ে তারা এখনও কোনো অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি ‘ডিপার্টমেন্টাল’। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন।