ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

চবিতে নন-টিচিং পদে শিক্ষক

রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে কর্মকর্তারা

রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে কর্মকর্তারা

চবিতে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে কর্মকর্তারা। ছবি-সমকাল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৩৮ | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৩৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নন-টিচিং পদ থেকে শিক্ষকদের সরানোর দাবিতে কর্মসূচি শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্বরত শিক্ষক অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসানের পদত্যাগ দাবিতে তাঁর কার্যালয়ে রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিদিন এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতি। একে একে অন্য পদগুলোতে থাকা শিক্ষকদের সরাতেও কর্মসূচি পালন করা হবে।

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কার্য সময়ের পুরোটাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তারা। এ সময় অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হাসান নোমানী জানান, তাঁরা উপাচার্যকে সর্বশেষ চিঠিতে নতুন বছর থেকে নন-টিচিং পদে কোনো শিক্ষক না রাখার অনুরোধ করেছিলেন। রেজিস্ট্রারের বিষয়টি বিশেষভাবে জানিয়ে ১ তারিখ থেকে নতুন নিয়োগের কথাও বলেছিলেন। তবে উপাচার্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁরা কর্মসূচি শুরু করেছেন। তিনি বলেন, যতগুলো নন টিচিং পদ আছে, এভাবে কর্মসূচি করে ধরে ধরে বের করে দেওয়া হবে। আগামীকাল থেকে সব বন্ধ করে দেব। অফিসারদের নিয়ে এসে বসে থাকব।

সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাভেদ বলেন, ইউজিসি ও মন্ত্রী থেকে নির্দেশনা আছে নন-টিচিং পদে শিক্ষক থাকতে পারবেন না। অথচ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ১২-১৩টি পদে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। অভিজ্ঞ কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় এসব পদে শিক্ষকরা থাকতে পারেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, কর্মকর্তাদের কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এটি প্রশাসনের দেখার বিষয়। তাঁদের সঙ্গে আন্তরিক নই- এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীর আখতারের কার্যালয়ে গেলেও তিনি কথা বলেননি।

এর আগে ইউজিসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ জুন রেজিস্ট্রারসহ নন-টিচিং পদে শিক্ষক থাকার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিল অফিসার সমিতি। কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১৮ ডিসেম্বর আরেকটি চিঠি দেয় তারা। এতে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাকে পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার নিয়োগ না দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক নন বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

×