মাতৃভাষায় বই পেয়ে উচ্ছ্বাস আদিবাসী শিশুদের

বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবে নতুন বই হাতে পেয়ে খুদে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
রাঙামাটি অফিস
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৫:৫৫
সারাদেশের মতো রাঙামাটিতেও গতকাল রোববার উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে জাতীয় পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। বছরের প্রথম দিন নতুন বইয়ের ঘ্রাণের সঙ্গে পাহাড়ের আদিবাসী শিশুরা নিজস্ব মাতৃভাষার বই পাওয়ায় উৎসবের উচ্ছ্বাস ছিল অনেকটা বেশি।
এবার জেলার ১০ উপজেলার ১ হাজার ৬৪টি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৯ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৯টি বই বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৬৬ হাজার ২৫০টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
শহরের বনরূপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের বিনামূল্য জাতীয় পাঠ্যবই ও আদিবাসী শিশুদের হাতে নিজস্ব মাতৃভাষার বই তুলে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। এ সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, বনরূপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্চনা তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, জেলার খ্যাতনামা লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিশুদের মাঝে বই বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দীন। এ সময় সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আজিকুর রহমান ও লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মীর সোহান উপস্থিত ছিলে।
২০১৭ সাল থেকে সরকার চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাত্রী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের মাঝে নিজস্ব মাতৃভাষায় বই বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে। তবে গত ছয় বছরেও পাহাড়ের আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষায় পাঠদানে ফলপ্রসূ হয়নি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় পাঠ্যবই চালুর পর থেকে রাঙামাটি জেলা পরিষদ থেকে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, যেহেতু এনসিটিবি মাতৃভাষায় পুস্তক ছাপিয়েছে, সেহেতু সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে প্রাক-প্রাথমিকে যেহেতু এখনও মূল্যায়নের গাইড আসেনি, গাইডটি হাতে পেলে পরীক্ষণ বা মূল্যায়ন ব্যবস্থা রাখা হবে।