নাম পাল্টে কারারক্ষী পদে ২০ বছর চাকরি করেন কুমিল্লার তাজুল

র্যাবের হাতে আটক তাজুল
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৩:০২ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৩:০২
আসল চাকরিপ্রার্থী ছিলেন হবিগঞ্জের মঈন উদ্দিন খান। কিন্তু প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন কুমিল্লার তাজুল ইসলাম। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে। পরে প্রতারণা মাধ্যমে চাকরি করে আসা তাজুল কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে তার শেষ রক্ষা হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাজুল কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার দক্ষিণ শশীদল এলাকার মো. কালা মিয়ার ছেলে।
আজ শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের মো. নূর উদ্দিন খানের ছেলে মো. মঈন উদ্দিন খান ২০০১ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজির হয়ে শারীরিক ফিটনেস, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যেকের স্থায়ী ঠিকানায় নিয়োগপত্র পরবর্তীতে ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে।
একইদিন পরীক্ষা দিয়ে তাজুল ইসলাম অকৃতকার্য হন। কিন্ত ওই সময়ে কৃতকার্য মঈনের পরিচয়, নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য কাগজপত্র নকল করে তাজুল চাকরিতে যোগ দেন। সিলেট কারাগারে যোগদান করা তাজুল বিভিন্ন সময়ে কুনিল্লা ও চট্টগ্রাম কারাগারে চাকরি করেন।
এদিকে ২০২০ সালের শেষদিকে সিলেট বিভাগে প্রায় ২০০ কারারক্ষী সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও প্রায় ২০/২২ বছর চাকরি করে আসছে বলে সংবাদে প্রকাশিত হয়। এরপর কারা বিভাগ তদন্তে নেমে মঈনের সঙ্গে কুমিল্লার তাজুলের প্রতারণার বিষয়টির সত্যতা পায়।
অন্যদিকে বিষয়টি জানতে পেরে চাকরি ফিরে পেতে মঈন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তাজুল তাকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দেয়। এতে মঈন রাজি না হওয়ায় তাজুল সিলেট কারাগার থেকে পালিয়ে যান বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
মেজর সাকিব বলেন, প্রতারক তাজুল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে মামলার তদন্ত সংস্থা সিলেট জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।