কালিয়াকৈর
দুই বিলে দিনভর মাছ শিকার

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৭:৫৬
দুটি বিলে দিনভর মাছ শিকারের উৎসবে মেতেছিলেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শৌখিন শিকারিরা। গতকাল শনিবার সকালে শ্রীফলতলী ইউনিয়নের গাবতলী এলাকার বুইড়ার বিল ও মৌচাক ইউনিয়নের সাহেবাবাদের গজারিয়া বিলে শুরু হয় মাছ ধরা। যা চলে বিকেল পর্যন্ত। এতে নানা বয়সী হাজারো শৌখিন শিকারি অংশ নেন।
গজারিয়া বিলে মাছ শিকারের সংবাদ শুনে সেখানে এসেছিলেন ভাওয়াল মির্জাপুরের মোহাম্মদ আলী ও হামিদ মিয়া। তাঁরা বলেন, পুরোনো বিল হওয়ায় গজারিয়ায় প্রচুর পরিমাণে বড় মাছ আছে। বুইড়ার বিলটিও কাছাকাছি। যে কারণে তাঁরা অন্যদের সঙ্গে এসেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শীতের শেষে বিল দুটির পানি তলানিতে নামে। এলাকার লোকজন শনিবার মাছ ধরার দিন নির্ধারণ করে। যা জানতে পেরে ভোর থেকে মাছ শিকারের উপকরণ নিয়ে আসেন শিকারিরা। তাঁদের অনেকেই দলবেঁধে আসেন বিভিন্ন যানবাহনে করে। তাঁদের কারও হাতে ছিল পলো, কারও ছিল ধর্মজাল। কেউ আবার আসেন টেঁটা নিয়ে। এ ছাড়া চাবি জাল, ঠেলা জাল, ঢোলনা জাল, ঝাঁকি জাল দিয়ে শিকার করেন তাঁরা।
গজারিয়ায় মাছ শিকার করা শরিফ মিয়া ও আবদুল হান্নান বলেন, তাঁরা নানা প্রজাতির দেশি মাছ শিকার করতে দেখেছেন। এর মধ্যে রুই, কাতলা, মৃগেল, বাগাইড়, শোল, কার্ফু, টাকি, বোয়াল, মাগুর, শিং, বাইন, টেংরা, পুঁটি, মলা উল্লেখযোগ্য।
গাবতলী ও গজারি গ্রামের বাসিন্দা শাকিল, কবির, সুজন ও আহম্মদের সঙ্গে কথা হয় সমকালের। তাঁরা বলেন, শিকারিদের হৈ-হল্লায় ঘুম ভাঙে তাঁদের। পরে বিল দুটিতে হাজারো শিকারির সমাগম দেখতে পান। বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে দেখেন। তাঁদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করা বন্ধ করা প্রয়োজন। এতে দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়বে। এতে স্থানীয় মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করা যাবে বলেও মনে করেন তাঁরা।
কালিয়াকৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. সলিমুল্লাহ বলেন, প্রতি বছর শীতের শেষে শনিবার ধরে উপজেলার কোথাও না কোথাও এমন শিকার চলে। সব জলাশয় থেকে উন্মুক্তভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তবে শত শত গ্রামবাসী মাছ শিকারে নামলে তাঁদের করার কিছু থাকে না।
- বিষয় :
- মাছ শিকার