ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

মদন-কেন্দুয়া সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। সমকাল।
মদন ও কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | ০৬:১৮
মদন-কেন্দুয়া সড়কের সাইডুলী নদীর পাশে সেতুটির মাঝে ভেঙে গেছে কয়েক দিন আগে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় মদন পৌর শহর থেকে ভাঙা সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। কর্তৃপক্ষ সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় চালক ও যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মদন থেকে কেন্দুয়া উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র পথ মদন-কেন্দুয়া সড়ক। ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতিদিন যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। মদন ও খালিয়াজুরী থেকে কেন্দুয়া, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামের সঙ্গে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। এই সড়কের সাইডুলী নদীর পাশে একটি ছোট সেতু রয়েছে। গত ১২ এপ্রিল সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে যায়। কর্তৃপক্ষ ভাঙা সেতু সংস্কার না করায় দিন দিন যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে।
বুধবার সরজমিন দেখা যায়, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো রকম সংস্কার হয়নি। দুই পাশে ছোট-বড় গাড়ি আটকে আছে। অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের যাত্রী ও চালকরা ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপারের চেষ্টা করছেন। অনেক যাত্রী তাদের মালপত্র নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ আবার গাড়ি বদল করে যাতায়াত করছেন। এতে যেমন বাড়ছে খরচ, তেমনি পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
এ সময় কথা হয় পলাশ মিয়া ও ময়না আক্তার নামে দুই যাত্রীর সঙ্গে। তাঁরা চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিকের কাজ করেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন। মদন থেকে এই সড়ক দিয়ে কোনো বাস চলাচল করছে না। তাই বাড়ি থেকে অটোরিকশা দিয়ে কেন্দুয়া উপজেলায় এসে বাসে উঠতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত সময় ও টাকা খরচ হচ্ছে।
অটোরিকশা চালক কামাল মিয়া ও তৌহিদ মিয়ার ভাষ্য, এখন ঈদের মৌসুম। বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরছেন যাত্রীরা। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ১৫ দিন ধরে সেতুটির অবস্থা খারাপ। কিন্তু কেউ এটি সংস্কার করছে না। এখন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, ছোট সেতুটি অনেক পুরোনো। নতুন করে নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য আপাতত মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে।
বুধবার দুপুরে ভাঙা সেতুটির কাছে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঞা ও নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল বলেন, যাত্রীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে সেতুর ভাঙা অংশে আপাতত মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে মানুষ পায়ে হেঁটে চলতে পারে এবং যানবাহনও চলতে পারে। পরবর্তীতে বরাদ্দ পেলে দরপত্রের মাধ্যমে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। কেন্দুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম জানান, মাটি দিয়ে ভরাট করা ছাড়া তাদের হাতে আপাতত কোনো উপায় ছিল না। জনগণের সাময়িক সুবিধার কথা চিন্তা করে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে।
- বিষয় :
- সেতু
- ঝুঁকিপূর্ণ সেতু