স্ত্রীকে হত্যা করে ডাকাতি বলে প্রচার, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি স্বামীর

নিহত গৃহবধূ সাইমা আক্তার
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩ | ১৬:২২ | আপডেট: ১১ মে ২০২৩ | ১৭:০০
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ খুনের ঘটনা ডাকাতি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি স্বামী দিদারুল আলমের। খুনের এক দিনের মধ্যে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্ত্রীকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আওলাদ হোসেন জুনায়েদের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঘটনার পর বুধবার দুপুরে দিদারুল ও দুই ননদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে সকালে উপজেলার মুরাদপুর হাসনাবাদ এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সাইমা আক্তারের বাবা বেলাল হোসেন বুধবার রাতে করা মামলায় আসামি করেন দিদারুল ও ছোট ননদকে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে দিদারুল দাবি করেন, ডাকাতরা তার স্ত্রী সাইমাকে হত্যা করেছে। তবে যেসব আলামত জব্দ করা হয়, তাতে মিলেছে ভিন্ন তথ্য। পরে ওসির কাছে স্বীকার করেন, স্ত্রীকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।
ওসি জানান, আদালতে জবানবন্দিতে দিদারুল জানিয়েছেন, ফটিকছড়ির প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরির সুবাদে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি স্ত্রী জানতে পেরে তিনিও পরকীয়ায় জড়ান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে ডেকে পুকুরপাড়ে গলা কেটে হত্যা করেন। বুধবার সকালে খুনের ঘটনা ডাকাতরা ঘটিয়েছে বলে প্রচার চালান।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনার পর খুনে ব্যবহৃত চাকু এবং স্বামী ও ননদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। দিদার জানিয়েছেন, খুনে ব্যবহৃত চাকুটি কেনা হয়েছে ফটিকছড়ি থেকে। তিনি ও তার ছোট বোন পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছেন।
- বিষয় :
- চট্টগ্রাম
- গৃহবধূ খুন
- ডাকাতি
- জবানবন্দি