ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বিয়ের আসর থেকে থানায় তরুণী, ধর্ষণের অভিযোগ

বিয়ের আসর থেকে থানায় তরুণী, ধর্ষণের অভিযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ | ০৪:১৯

প্রথমে করতেন উত্ত্যক্ত। পরে তিন বছর ধরে প্রেম। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে করেন শারীরিক সম্পর্ক। কাজির কাছে আসার কথা বলে কেটে পড়ে প্রেমিক। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের লোকজন বসে প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ের দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী গত শনিবার রাতে প্রেমিকার বাড়িতে চলে বিয়ের আয়োজন। কিন্তু রাতে প্রেমিকের মাসহ অন্যরা প্রেমিকার বাড়িতে এসে জানান, বর নিরুদ্দেশ। তাই আজ বিয়ে হচ্ছে না।

এই খবরে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে প্রেমিকার মাথায়। গভীর রাতে বিয়ের সাজে স্বজনদের নিয়ে নান্দাইল থানায় গিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন তরুণী। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার দেউলডাংড়া গ্রামে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তরুণীর (২০) বাড়ি জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। তাঁকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে জুবায়েল আহম্মেদ (২২)। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন জুবায়েল। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলেই টালবাহানা করতেন তিনি।

একপর্যায়ে ঢাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন তরুণী। তখন সেখানেও নিয়মিত যাওয়া-আসা শুরু করেন অভিযুক্ত যুবক। একপর্যায়ে তিনিও একটি কোম্পানিতে চাকরি নেন। সেখানে আবারও জুবায়েল বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই কেটে পড়ার চেষ্টা করেন তিনি।

এ অবস্থায় এলাকাবাসীর চাপে পড়ে বিয়ে করতে বাধ্য হন জুবায়েল। দুই পরিবারের সম্মতিতে গত শনিবার রাতে বিয়ের আয়োজন করা হয়।

তরুণীর বাবা জানান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন বর্তমান ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। কত টাকার কাবিন হবে, কতজন মেহমান যাবেন কনের বাড়িতে, সবকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নান্দাইল থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি খুবই গুরুতর। এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠোনো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×