সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন

মানববন্ধনে শতাধিক ব্যক্তিসহ ছাত্র সংগঠন ও হেডম্যান (মৌজাপ্রধান)-কারবারি (পাড়াপ্রধান) অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। ছবি-সমকাল
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৩ | ২৩:৪৪ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ | ২৩:৪৪
বান্দরবানের সাঙ্গু মৌজায় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জন্য সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার দুপুরে জেলা শহরের প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ১৭টি পাড়ার শতাধিক ব্যক্তিসহ ছাত্র সংগঠন ও হেডম্যান (মৌজাপ্রধান)-কারবারি (পাড়াপ্রধান) অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। লামা সাঙ্গু মৌজাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাঙ্গু মৌজায় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জন্য ৫ হাজার ৭শ ৬০ একর জায়গা সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১৩টি আদিবাসী পাড়া (গ্রাম) সরাসরি উচ্ছেদের শিকার হবে। এ ছাড়া আরও চারটি পাড়া পরোক্ষভাবে উচ্ছেদের হুমকির মুখে পড়বে।
মানববন্ধনে সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) চম্পাত ম্রো বলেন, সাঙ্গু মৌজাতে সিংহভাগ আদিবাসী জুমচাষি পরিবার বসবাস করে। জুম চাষ করেই তাদের সংসার চলে। বংশ পরম্পরায় কয়েক যুগ ধরে জুম চাষ করে আসছেন তাঁরা। সরকারের তরফ থেকে সাঙ্গু মৌজার যে জায়গায় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে ১৭টি পাড়ার ম্রো, ত্রিপুরা, মারমা ও বাঙালি মিলে প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি লোকজন বসবাস করছে। বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আদিবাসীসহ বাঙালি পরিবারগুলো সর্বহারা হবে। বেশিরভাগ আদিবাসী আরও বেশি অসহায় হয়ে পড়বে।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন– বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তনয়া ম্রো, মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক উক্যমং মারমা, সাঙ্গু মৌজা হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) চম্পাত ম্রো, বান্দরবান হেডম্যান-কারবারি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা প্রমুখ।
- বিষয় :
- মানববন্ধন
- সংরক্ষিত বনাঞ্চল
- প্রেস ক্লাব